সিলেটে সোমবারের ভূমিকম্পের পর নগরীর রাজা গিরিশচন্দ্র (জিসি) স্কুল ভবনের বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।
Published : 08 Jun 2021, 02:10 AM
সন্ধ্যায় ই দফা ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর বন্দরবাজার এলাকার ওই স্কুল ভবনে ফাটল দেখতে পান স্থানীয়রা। এতে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২৭ ও ৬টা ২৯ মিনিটে সিলেটে দুই দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাজা জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুমিন জানান, সোমবারের সন্ধ্যার ভূমিকম্পের পর বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন ‘বদরউদ্দিন কামরান ভবন’-এ ফাটল দেখা দেয়।
এই ভবনটি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের নামে নির্মিত। ২০০৬ সালে এই ভবন নির্মিত হয়। ২০১৭ সালের দিকে ভবনের দ্বিতীয় তলার কাজ সম্পন্ন হয়।
প্রধান শিক্ষক জানান, ওই ভবনের বিভিন্ন কক্ষের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। ভবন কিছুটা হেলেও পড়েছে।
বিদ্যালয় খোলার আগেই তিনি এ ভবন সংস্কারের দাবি জানান।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ রাজা জিসি উচ্চ বিদ্যালয়। শতবর্ষি এই বিদ্যালয়ে ১৮৮৬ সালে নির্মাণ করেন প্রখ্যাত দানশীল ও শিক্ষানুরাগী রাজা গিরিশ চন্দ্র।
খবর পেয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী রাতেই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
আরিফুল বলেন, বেশ কিছু স্থানে ফাটল দেখা দেয়ায় এই ভবনটি খুবই ঝুঁকিপুর্ণ মনে হচ্ছে। এসব থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এখানে আবেগের কোন স্থান নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবন ভাঙ্গার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান মেয়র আরিফুল।
এরনআগে গত ২৯ মে সকাল ১০টা থেকে বেলা দুইটার মধ্যে সিলেটে অন্তত চারবার ভূকম্পন অনুভূত হয়। পরদিন ভোরে আবার ভূমিকম্প হয়।যার সবগুলোর কেন্দ্রস্থল সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকায়।
২৯ মে ভূমিকম্পের পর থেকেই সিলেটজুড়ে ভূমিকম্প আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক জহির বিন আলম জানান, বড় ধরনের ভূমিকম্পের আগে বা পরে এমন ছোট ছোট ভূকম্পন অনুভূত হয়।
ফলে ভূমিকম্পের ডেঞ্জার জোন হিসেবে পরিচিত সিলেটে বড় ধরনের ভূমিকম্পের শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। তাই সবাইকে সতর্ক থেকে দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিতে হবে জানান তিনি।