ফেনীতে মজুদ শেষ হওয়ায় করোনাভাইরাসের টিকাদান আপাতত বন্ধ রয়েছে।
Published : 03 Jun 2021, 06:46 PM
জেলায় ১৪ হাজার ৭১৩ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
গত ৩১ মে জেলার ফুলগাজী উপজেলায় ১০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার পর টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. রফিক উস-সালেহীন।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানায়, ফেনীতে টিকা গ্রহণের জন্য ৬৪ হাজার ১৮৭ জন রেজিস্ট্রেশন করলেও প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছে ৫২ হাজার ২৩৯ জন।
গত ৮ এপ্রিল থেকে জেলায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান শুরু হয়। গত ৩১ মে সোমবার পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান চলে। ওইদিন পর্যন্ত জেলায় ৩৭ হাজার ৫২৬ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছে।
মজুদ শেষ হওয়ায় জেলায় ১৪ হাজার ৭১৩ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি।
এদিকে, প্রথম ডোজ নেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজের জন্য মোবাইল ফোনে এসএমএস না পেয়ে অনেকে স্ব-স্ব হাসপাতালে গিয়ে টিকা গ্রহণের সময় জানতে চেয়েছেন; তবে তথ্য না পেয়ে অনেকেই ফিরে গেছেন।
জেলা শহরের উত্তর সহদেবপুরের বাসিন্দা সত্তোরোর্ধ্ব বিলকিস বানু বলেন, রেজিস্ট্রেশনের পর তিনি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রথম ডেজ টিকা গ্রহণ করেছেন। সে অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণের সময় ছিলো ২৪/২৫ এপ্রিল। নির্দিষ্ট সময়ে এসএমএস না পাওয়ায় তিনি পাঁচ বার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে গিয়েও দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করতে পারেননি।
শহরের কলাবাগানের বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ্ব জোহরা হক বলেন, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে তিনি গত ১০ মার্চ প্রথম ডেজ টিকা গ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের সময় ছিল ৯/১০ মে। কিন্তু এসএমএস না পাওয়ায় তিনি গত ১০ মে থেকে তিন দফা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করতে পারেননি।
সিভিল সার্জন রফিক উস-সালেহীন বলেন, মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় জেলায় টিকাদান কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা পাওয়া গেলে পুনরায় এ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।