মামুনুল সহিংসতার মামলায় ফের রিমান্ডে

হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে নারায়ণগঞ্জে সহিংসতার একটি মামলায় মামুনুল হককে ফের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।

সোমবার নারায়ণগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম ফারহানা ফেরদৌস ভার্চুয়াল শুনানিতে এই আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরির্দশক আসাদুজ্জামান।

তিনি জানান, সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আরিফুর রহমান জানান, গত ১৫ এপ্রিল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার দায়িত্ব নেয় পিবিআই।

“ওই মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামির স্বীকারোক্তিতে সহিংসতায় ইন্ধন দেওয়ার জন্য হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রীয় নেতার নাম আসে। তাই তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হয়।”

এর আগে গত ১২ মে মামুনুলের কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা ধর্ষণসহ পাঁচ মামলায় মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ওই মামলার রিমান্ড শুনানিতে মামুনুল হক কাশিমপুর কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি নারায়ণগঞ্জ আদালতে যুক্ত ছিলেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে ঘিরে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে দুই জন। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১৮টি গাড়ি। ভাংচুর করা হয়েছে দুটি গণমাধ্যমের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সসহ শতাধিক যানবাহন।

ওই দিন সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইবোর্ড থেকে শিমরাইল পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা অচল হয়ে পড়ে এবং রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ওই ঘটনায় পরদিন সোমবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে ৫টি এবং র‌্যাব বাদী হয়ে একটি মোট ৬টি মামলা দায়ের করে।

ওই ছয় মামলায় এজাহারনামীয় ১৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৬শ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকরাও তিনটি মামলা দায়ের করেন। তাই এই ঘটনায় সব মিলিয়ে মোট মামলা হয়েছে নয়টি।