সম্প্রতি দেশে তাণ্ডবকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
Published : 07 May 2021, 10:53 PM
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধুপুরে গত ২৮ মার্চ তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শন শেষে শুক্রবার তিনি একথা বলেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে দেশে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় একটি গোষ্ঠী, যাদের বড়ো একটি অংশ মাদ্রাসা ছাত্র। পুলিশ এই তাণ্ডবের জন্য হেফাজতে ইসলামকে দায়ী করছে।
স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ইসলাম ধর্ম কখনও সহিংসতার কথা বলে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। যারা হেফাজতের নামে দুস্কর্ম করে, নিষ্ঠুরতা করে, অত্যাচার করে এরা মানুষ না এরা অমানুষ।”
এই ধরনের নিষ্ঠুরতা, অত্যাচার ও নৃশংসতা কোনো ধর্মের উদ্দেশ্য নয়; অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ায় ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য, বলেন মন্ত্রী।
গত ২৮ শে মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে সিরাজদিখানের রাজনগর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম আলমগীর কবিরের বাড়িসহ ১০টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
দুপুরে তিনি এসব বাড়িঘর পরিদর্শন করে বলেন, “আমি নিজে এসে দেখে গেলাম; আমি আপনাদের সাথে ওয়াদা করছি যারা এই সহিংসতার সাথে জড়িত তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, এখানে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
“এই নৃশংসতায় মামলা যেগুলো হয়েছে বা হয় নাই তদন্ত করে সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। নিষ্ঠুরতা, নৃশংসতা আর বর্বরতা হতে দেব না।”
তিনি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। সময় মতো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েন, কোরআন পড়েন। তার হাতে বাংলাদেশ। তিনি কোরআন সুন্নাহর বাইরে কিছু করেন না।”
এই সময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, অতিরিক্তি ডিআইজি নূরে আলম মিনা, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, সিরাজদিখান উপজেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।