রংপুর নগরীতে মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি সেনাদের একটি নির্যাতন কেন্দ্রসংলগ্ন বধ্যভূমিতে মানুষের হাড়গোড় পাওয়া গেছে।
Published : 30 Nov 2020, 05:35 PM
ওই বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের জন্য সোমবার সকালে মাটি খোঁড়ার সময় এসব হাড়গোড় ও দাঁতের অংশ পাওয়া যায়।
এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে নগরীর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ছুটে যান টাউন হল বধ্যভূমি চত্বরে।
“এই ইতিহাসের কথা এতদিন আমরা সবাই বলছিলাম। হায়েনাদের হাতে মারা যাওয়া মানুষের আজ হাড়গোড় মিলেছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মহান ইতিহাস সংরক্ষণ করে অমর গাথা ও স্মারক চিহ্ন জীবন্ত রাখতে চাই।”
খনন কাজের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার রংপুর মহানগর শাখার সাধারণ আতিক উল আলম কল্লোল।
ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে এসব হাড়গোড় সংরক্ষণ করা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে এই বধ্যভূমিতে ফেলে দেওয়া হত। এই হাড়গোড় সংরক্ষণ করা দরকার। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য।”
খনন কাজে নিয়োজিত শ্রমিক রশিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখন কুয়ার উপরিভাগ কেবল খোঁড়া হয়েছে। পুরো কুয়া খুঁড়লে আরও হাড়গোড় পাওয়া যেতে পারে।
টাউন হল ও আশপাশের সৌন্দর্যবর্ধন বৃদ্ধিসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটি সংরক্ষণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছে রংপুর জেলা প্রশাসন।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর ওই স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়।
জেলা প্রশাসন থেকে জানা যায়, বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তব নির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ আগামী বছরের জুনে শেষ হবে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ লাখ টাকা।