পুলিশ কনস্টেবল পদে ছেলের চাকরির জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তিকে ১৪ লাখ টাকা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন ময়মনসিংহের এক দরিদ্র কৃষক।
Published : 01 Nov 2020, 12:22 PM
চাকরি না হওয়ায় কিছু টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকার জন্য দিনের পর দিন ঘুরছেন ত্রিশাল উপজেলার পূর্ব পাঁচপাড়া গ্রামের আবুল কালাম শেখ।
এইচএসসি পাশ ছেলে শাকিল শেখের চাকরির জন্য তিনি স্থানীয় তোফাজ্জল হোসেনকে টাকা দিয়েছিলেন।
তোফাজ্জল হোসেন ত্রিশালের সাকুয়াই ইউনিয়ন ছাত্রীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হলেও বর্তমানে আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। তবে এলাকায় তিনি আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিত।
কৃষক আবুল কালাম শেখ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছর ছেলে শাকিলের পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য জমি বিক্রি করে ১২ লাখ ও সুদে ২ লাখ টাকা এনে মোট ১৪ লাখ টাকা দেন তোফাজ্জল হোসেনকে।
তোফাজ্জল হোসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান মাহমুদকে দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দেন বলে কালামের ভাষ্য।
তিনি বলেন, শাকিল পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিলেও চাকরি হয়নি। চাকরি না হওয়ার ছয় মাস পর তোফাজ্জল সাত লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি টাকা দেই দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ করছেন। বিষয়টি নিয়ে অনেকবার অনেকের কাছে নালিশও করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদনও করেছেন বলে জানান আবুল কালাম।
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “চাকরির জন্য ১৪ লাখ টাকা নিয়েছি সত্য কথা। তবে কারো নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নেইনি। ইতিমধ্যে সাত লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। বাকি টাকাও অচিরেই দিয়ে দেব।”
ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ আব্দুল মতিন সরকার বলেন, “পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।”
ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান মাহমুদ বলেন, “আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। বর্তমানে দল ক্ষমতায়। উপজেলার অনেকেই দলের কর্মী-সমর্থক। তবে কেউ যদি আমাদের নাম ব্যবহার করে কোনো অন্যায় কাজ করে তাহলে তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।”