“ভোরে বৃষ্টির সময় হঠাৎ বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পাই। পরে কান্নার শব্দ শুনে গিয়ে দেখি, আগুনে বসতঘর পুড়ছে।”
Published : 05 May 2024, 05:15 PM
খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ চারজনের প্রাণ গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
রোববার ভোরে দীঘিনালা, মাটিরাঙা ও রামগড় উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বেতছড়ির গোরস্থান এলাকার গাড়ি চালক ছাদেক আলীর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮), রামগড় উপজেলার হাজাপাড়া এলাকার গনজ মারমা (৫৫) এবং মাটিরাঙার বেলছড়ি ইউনিয়নের শশী কার্বারী পাড়ার সমিকা ত্রিপুরা (২৬)।
দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, “ভোর সাড়ে ৫টার সময় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় বজ্রপাতের ছাদেক মিয়ার বসতঘরে আগুন লাগে। এতে ঘরের ভেতরে থাকা হাসিনা বেগম ও তার ছেলে হানিফ মিয়া আগুনে অঙ্গার হয়ে যায়।
“এ সময় হাসিনার আরেক সন্তান ১১ বছর বয়সী মো. হাবিজ ঘরের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে গেছে। পরে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।”
বেতছড়ির গোরস্থান এলাকার বাসিন্দা মো. জাহিদ বলেন, “ভোরে বৃষ্টির সময় হঠাৎ বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পাই। পরে কান্নার শব্দ শুনে গিয়ে দেখি, আগুনে বসতঘর পুড়ছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।”
দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা পংকজ বড়ুয়া জানান, বজ্রপাত থেকে বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং মা ও শিশুসহ দুটি লাশ উদ্ধার করেন।
দীঘিনালা থানার ওসি নুরুল হক বলেন, বজ্রপাতে নিহত মা-সন্তানের লাশ আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রামগড় উপজেলার হাজাপাড়া এলাকায় ব্রজপাতে গনজ মারমা নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে রামগড় থানার ওসি দেবাশীষ দাস জানান।
হাজাপাড়া এলাকার পাড়াপ্রধান চাইলাফ্রু মারমা বলেন ,“ভোরে বৃষ্টির সময় উঠানের গরু ঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ব্রজপাতের তার মৃত্যু হয়।“
মাটিরাঙার বেলছড়ি ইউনিয়নের শশী কার্বারী পাড়ায় বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে মাটিরাঙা থানার ওসি কৃষ্ণ কমল দে জানান।
তিনি বলেন, “ভোর রাতে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বজ্রপাতে সমিকা ত্রিপুরা গুরতর আহত হন। পরে তাকে মাটিরাঙা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।”
এ সময় তার দুই সন্তানও আহত হয়েছেন বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।