পদ্মা সেতুর ৩৩তম স্প্যান বসানোর ছয় দিনের ব্যবধানে ৩৪তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর ৫১০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
Published : 25 Oct 2020, 09:53 AM
রোববার সকালে ‘২এ’ নম্বর স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তের ৭ ও ৮ নম্বর খুঁটির ওপর স্থাপন করা হয়। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিতল পদ্মা সেতুতে ৪২টি খুঁটির ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, শনিবার বিকেল ৪টায় মাওয়ার কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যান নিয়ে নির্ধারিত পিলারের দিকে রওয়ানা হয় বিশেষায়িত ক্রেন ‘তিয়ান ই’।
প্রায় দুই কিলোমটার পথ পাড়ি দিয়ে মাঝ নদীতে ৭ ও ৮ নম্বর পিলারের কাছে যখন ক্রেনটি পৌঁছে ততক্ষণে দিনের আলো শেষ প্রায়। আলোর স্বল্পতার জন্য সেদিন স্প্যানটি স্থাপন করা হয়নি। ভাসমান স্প্যানবাহী জাহাজটি ৭ ও ৮ নম্বর খুঁটির কাছে নোঙ্গর করা হয়।
রোববার সকাল থেকে স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়। পরে স্প্যানটি ইঞ্চি মেপে খুঁটির ওপর যথাস্থানে বসিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে ১৯ অক্টোবর ৩ ও ৪ নম্বর খুঁটির ওপর ৩৩ নম্বর স্প্যানটি বসানো হয়। ১১ অক্টোবর ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর ৩২তম স্প্যানটি স্থাপন করা হয়েছিল। চলতি মাসে এ পর্যন্ত তিনটি স্প্যান খুঁটির ওপর স্থাপন করা হল।
আগামী ৩০ অক্টোবর মাওয়ায় পদ্মা তীরে ২ ও ৩ নম্বর খুঁটির ওপর ৩৫তম স্প্যান স্থাপন করার কথা রয়েছে। অপর ছয়টি স্প্যান এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে খুঁটির ওপর উঠে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি খুঁটি দৃশ্যমান হয়েছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে সেদেশের অপর প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
বহুমুখী এ সেতুর দোতলা আকৃতির পদ্মা সেতুর নির্মাণ শেষে ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।