নারায়ণগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে গরম পানি ঢেলে ঘুমন্ত স্ত্রীর মুখসহ শরীর ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Published : 13 Oct 2020, 01:02 PM
জেলার সদর উপজেলার ফতুল্লার রসুলপুরে এক ভাড়াটিয়ার বাসায় গত সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর অবস্থায় গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পায়েল মিয়া পালিয়ে গেছে বলে জানায় পুলিশ।
আহত পাপড়ি আক্তার পিরোজপুর জেলার উদয়কাঠির নাজিম উদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে। আর তার স্বামী পায়েল মিয়া রংপুর জেলার গঙ্গাচরা থানার বুড়িরহাট মিরাজপাড়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, এসআই জাকির হোসেন তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
“অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
আহত গৃহবধূ পাপড়ি আক্তার সাংবাদিকদের জানান, পায়েল মিয়ার সঙ্গে ১০ বছর আগে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সাত বছরের এক ছেলে সন্তানও রয়েছে।
তবে সন্তান জন্মের পর থেকে তাদের ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক নেই।’
তাই স্বামীর বাড়ি ছেড়ে তিনি বাবার বাড়ি সদর উপজেলার ফতুল্লার রসুলপুর এলাকায় চলে যান। সন্তানকে বাবা-মায়ের কাছে রেখে পাপড়ি গার্মেন্টসে কাজ করেন।
সাত বছরের মধ্যে তার স্বামী তাদের কোনো খোঁজ নেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, গত শুক্রবার হঠাৎ রসুলপুর এলাকায় তাদের ভাড়া বাসায় আসেন পায়েল মিয়া।
পায়েল তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে তাতে অসম্মতি জানান পাপড়ি। এ সময় দীর্ঘদিন তাদের খোঁজ না নেওয়া নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়।
তকে কৌশলে দুদিন স্ত্রীর সঙ্গে সেখানে থাকেন পায়েল মিয়া। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে রাতে খাবারে সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে সোমবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় গরম পানি মুখে ও শরীরে ঢেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যান পায়েল বলে অভিযোগ তার।
পরিবারের সদস্যরা তার চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে পাপড়িকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।