সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ চারজনের ছাত্রত্বসহ সনদ বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
Published : 13 Oct 2020, 12:40 PM
মঙ্গলবার এমসি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সালেহ আহমদ জানান, গত সোমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সাথে এমসি কলেজ থেকে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, বিএসএস ডিগ্রি পাস কোর্সের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের (অনিয়মিত) ছাত্র সাইফুর রহমান (২৮), ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত বর্ষের শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), বিএসএস স্নাতক পাস কোর্সের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের রবিউল ইসলাম (২৫), ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত বর্ষের মাহফুজুর রহমান (২৫)।
ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় এমসি কলেজের অধ্যক্ষের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই চারজনের ছাত্রত্ব এবং সনদ বাতিল করা হয় বলে জানিয়েছেন এমসি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সালেহ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই এক গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
এ ঘটনায় পরদিন সকালে গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।
২৭ সেপ্টেম্বর ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন সিলেট মহানগর হাকিম তৃতীয় আদালতের হাকিম শারমিন খানম নিলা।
এ ঘটনায় আট আসামিকে গ্রেপ্তার করে তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড শেষে প্রত্যেকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা সবাই কারাগারে রয়েছেন।