দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুতের এই প্রকল্পের প্রধান সব কাজ শেষ হয়েছে বলে প্রকল্প পরিচালক ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ জানান।
ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্রের তীরে প্রায় ১ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘সুতিয়াখালি ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প’। নবায়নযোগ্য জ্বালানির এ প্রকল্প থেকে এ মাসেই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হচ্ছে।
তিনি বলেন, নদী শাসনের পর এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। ১০টি বক্স ট্রান্সমিশনে সংযোগ দেওয়া, সাব-স্টেশনসহ ১৩২ কেভিএ ট্রান্সমিশন টাওয়ার নির্মাণ, কেওয়াটখালী জাতীয় গ্রিড লাইন পর্যন্ত চার কিলোমিটার আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপন, এক কিলোমিটার ওভারহেড ট্রান্সমিশন সঞ্চালন লাইন স্থাপন ও অফিস ভবনসহ সব কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
এখন ইকুইপমেন্ট টেস্টের পর এ মাসেই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে বলে তিনি জানান।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অধীনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে সুতিয়াখালির চরাঞ্চলে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে এইচডিএফসি সিনপাওয়ার লিমিটেড এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বেসরকারি বিনিয়োগ ও সরকারি তদারকে পিডিবির একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর তত্ত্ববধানে ১৭৪ একর জমি ওপর ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে এই প্রকল্পের কাজহয়েছে।
ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্রের তীরে প্রায় ১ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘সুতিয়াখালি ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প’। নবায়নযোগ্য জ্বালানির এ প্রকল্প থেকে এ মাসেই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হচ্ছে।
সরকারের ২০২০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে।
২০১৪ সালে কাগজে-কলমে সুতিয়াখালির এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয় জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ২০১৭ সালে বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়। মেয়াদ বাড়ানোর পর গত ৩০ জুনের মধ্যেই উৎপাদন শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু চীনা প্রকৌশলীরা নববর্ষের ছুটিতে দেশে যাওয়ায় পর করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ফিরে আসতে না পারায় বিলম্ব হয়। এছাড়া স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি আর কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রকল্পের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে বাধা বিপত্তি কাটিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন করা হয়।
এইচডিএফসি সিনপাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক শেখ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারের সব নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। দেশে চলমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ও মেগা প্রকল্প। প্রকল্পটিতে স্থানীয়ভাবে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। প্রকল্পের কারণে আশপাশের জমির মূল্য বেড়ে গেছে। প্রকল্পটি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্প উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।