ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীর দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
Published : 19 Sep 2020, 12:29 AM
উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তার ওপর এই অত্যাচার হয় বলে সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান।
আহত পারভিন আক্তার (২৪) জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। তিনি সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার নূর ইসলামের স্ত্রী।
পারভিনকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক সাকিব ইবনে আব্দুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পারভিনের দুই হাত ও দুই পা রডজাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
চিকিৎসাধীন পারভিন বলেন, আট মাস আগে নূর ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এখন তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
“বিয়ের পর থেকেই নূর ইসলাম প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরে আমাকে মারপিট করত। বৃহস্পতিবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মালঞ্চা গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাই। শুক্রবার বিকালে বাবার বাড়ি থেকে ফিরে আসি। বাড়িতে এসে দেখি সে নেশা করে মাতাল অবস্থায় রয়েছে। তার কাছে যাওয়া মাত্রই সে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করে। একপর্যায়ে সে ঘরের দরজা ভেতর থেকে তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এরপর ঘরে থাকা একটি লোহার রড দিয়ে আমার দুই হাত ও দুই পায়ে আঘাত করে ভেঙে দেয়।”
পরে পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে বলে তিনি জানান।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ওসি তানভিরুল বলেন, খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে নূর ইসলামকে আটক করা হয়। হাসপাতালে গিয়ে আহত পারভিন আক্তারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য তাকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়েছে।