বগুড়া বিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
Published : 18 Sep 2020, 10:19 PM
শুক্রবার স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পারেন গত ১৫ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার খবর।
ওই শিক্ষকরা হলেন, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল মোত্তালিব।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদ আলী বেগ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন বিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
“ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে আইন অনুযায়ী পেশাগত পর্যায়ে সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য।“
বিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি বগুড়ার ডিসি জিয়াউল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর কমিটির সভা করেছি। বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের কাছে এর ভিত্তিতে শাস্তির জন্য সুপারিশ পাঠানো হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই দুই ছাত্রী বিচার চেয়ে পোস্ট দিলে হৈচৈ পড়ে। জেলার ডিসি প্রধান এডিসি (শিক্ষা) মাসুম আলী বেগ প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্য দুজন হলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান ও বগুড়া সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান।
ওই ঘটনায় যৌন নির্যাতনের দুই ছাত্রীর পক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিচারের দাবিতে স্মারকলিপির স্বাক্ষরকারী রাকিবুল হাসান রক্তিম বলেন, গত ২০ জানুয়ারি এক ছাত্রী অভিযোগ করলেও অধ্যক্ষ তা ধামাচাপা দেন। পরে আরেক ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আরেক ছাত্রীকে ফোনে, মেসেন্জারে যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ছাত্রীটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অডিও প্রকাশ করে তখন আগের ছাত্রীনও আবার প্রতিবাদ করে।
“আমরা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও এক হয়ে আন্দোলনে নেমে পড়ি।”