জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমাম জাফর জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দিনাজপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এই আদেশ দেয়।
বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর উপর হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত ওয়াহিদা এখন ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন।
ওসি ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ঘোড়াঘাট থানার পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম। শনিবার দুপুরে সেই দায়িত্ব দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
“নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতে চান। আদালত সাত দিন মঞ্জুর করে। মামলার অপর আসামি হাসপাতালে রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে তাকেও আদালতে হাজির করে রিমান্ডে চাওয়া হবে।
পুলিশের হেফাজতে দেওয়া দুই আসামি হলেন- নবিরুল ইসলাম ও সান্টু চন্দ্র দাস।
আর র্যাব হেফাজতে হাসপাতালে রয়েছেন আসাদুল হক।
তিনজনকেই র্যাব গ্রেপ্তার করে। পরে দুইজনকে পুলিশে হস্তান্তর করলেও আসাদুল হাসপাতালে থাকায় তাকে হস্তান্তর করেনি।
আসাদুল ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে বহিষ্কার করা হয়।
তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব বলেছে, হামলাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল চুরি। দেখে ফেলায় তারা হামলা করেছে।
তবে এ কথা মানতে নারাজ সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেলালুদ্দীন আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “কোনো কোনো মহল ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বিচ্ছিন্ন ও চুরির ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
“অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, এটি কোনো চুরির ঘটনা নয়। কারণ কোনো প্রকার জিনিস খোয়া যায়নি। এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণের ঘটনা এবং এর সাথে আরও অনেক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে।”
স্টোরি রিলে.