দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিরামপুর সার্কেল) মিথুন সরকার শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসাদুল অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
৩৫ বছর বয়সী আসাদুল ঘোড়াঘাট উপজেলার সাগরপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে।
আসাদুল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের ঘোড়াঘাট শাখার নেতা ছিলেন। শুক্রবার গ্রেপ্তারের পর তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আসাদুল ছাড়াও চক বাবুনিয়া বিশ্বনাথপুরের মৃত ফরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. নবীরুল ইসলাম (৩৪) এবং খোকা চন্দ্র কুমার বিশ্বাসের ছেলে সান্টু কুমার বিশ্বাস (২৮) নামে দুজনকে ইউএনওর উপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসের বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর উপর হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।
শুক্রবার ভোরে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে হাকিমপুর উপজেলার কালীগঞ্জ থেকে আসাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসাদুলের সঙ্গে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেনকেও ধরা হয়েছিল, পরে জিজ্ঞাসাবাদে ‘তার সম্পৃক্ততা’ না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব বলেছে, ‘চুরি করার জন্য’ আসাদুল ইউএনওর বাসায় ঢুকেছিল। এতে তার সহগী যোগী ছিল নবীরুল ও শান্টু।