নারায়ণগঞ্জে ‘ধর্ষণ-হত্যার’ দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়ার পর সেই মেয়েটি জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় দুই আসামির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছে আদালত।
Published : 31 Aug 2020, 02:09 PM
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এছাড়া ওই কিশোরীর কথিত স্বামী ইকবালের রিমান্ড আবেদনও এদিন না মঞ্জুর করেছে আদালত।
গত ৪ জুলাই ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী শহরের দেওভোগের মা-বাবার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় জিডি ও মামলা করে তার পরিবার। ওই মামলায় পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব ও নৌকার মাঝি খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৯ অগাস্ট তারা আদালতে জবানবন্দিতে তারা ‘অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার’ দায় স্বীকার করেন।
এদিকে ঘটনার ৫১ দিন পর ২৩ অগাস্ট ওই কিশোরী মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে এনে পুলিশে সোর্পদ করে পরিবারের লোকজন। ফিরে আসার পর ওই কিশোরী আদালতে বলেছে, ইকবাল নামের এক যুবককে বিয়ে করে বন্দর এলাকার এক ভাড়া বাড়িতে সংসার পেতেছিল সে। এই ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
আসামি আব্দুল্লাহ্ ও রকিবের পক্ষের আইনজীবী রোকনউদ্দিন জানান, আসামিরা তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন জানালে বিচারক তা নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।