খালের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচ কিলোমিটার অংশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শুরু করেছে বিডি ক্লিন ও রংপুর সিটি করপোরেশন।
Published : 11 May 2024, 06:24 PM
রংপুর শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্যামাসুন্দরী খালে পানি প্রবাহ ফেরাতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমেছে বিডি ক্লিন ও সিটি করপোরেশন।
শনিবার সকালে নগরের শেখ রাসেল স্টেডিয়াম মাঠে খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
নগরীর বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটার এ খালের মধ্যে প্রাথমিকভাবে পাঁচ কিলোমিটার অংশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করা হয়।
সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, “পরিচ্ছন্নতার সুফল পেতে নগরবাসীকে সচেতন করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। শ্যামাসুন্দরী খালের আশপাশে বসবাসরত সবাইকে সচেতন হতে হবে।
“পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শেষ হলে নতুন করে ময়লা ফেলা এবং পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য অবৈধ স্যুয়ারেজ সংযোগ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি কার্যক্রম চলবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সিটি মেয়র তার নির্বাচনি ইশতেহারে গ্রিন সিটি এবং ক্লিন সিটির কথা বলেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় শ্যামাসুন্দরী খালের পাঁচ কিলোমিটার (চেকপোস্ট থেকে শাপলা চত্বর) পুনঃখনন ও অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান মোস্তাফিজার রহমান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি শ্যামাসুন্দরী খাল রক্ষায় সংস্কারসহ আধুনিকায়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেন তাহলে এটি সবচেয়ে সুন্দর লেকে পরিণত করা সম্ভব হবে।
তিন মাসের মধ্যে শ্যামাসুন্দরী খাল খনন ও সংস্কারসহ আধুনিকায়নে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে বলে জানান সিটি মেয়র।
অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন বলেন, “আমাদের চারপাশে খেকোদের সংখ্যা বাড়ছে। নদীখেকো, খালখেকো, বালুখেকো, কৃষিজমি খেকোর ছড়াছড়ি। এসব খেকোদের কারণে পরিবেশ-প্রকৃতি আজ হুমকিতে।
“জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এই খেকোরা জড়িত। তাদের কাছ থেকে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ রক্ষায় আগে নিজেদের সচেতন হতে হবে। দখল ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।”
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম রশিদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহনাজ বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম এবং বিডি ক্লিনের সমন্বয়ক জহুরুল ইসলাম রনি উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে দূষণমুক্ত সবুজ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে শপথ নেন বিডি ক্লিনের সদস্যরা। পরে শ্যামাসুন্দরী খালের পাঁচ কিলোমিটার অংশের ১৫ স্থানে একসঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়।
বিডি ক্লিনের সদস্যদের পাশাপাশি এই কার্যক্রমে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছেন।