মহেশখালী আমলী আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় এই আদেশ দেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. হামিদুল হক জানিয়েছেন।
তিন বছর আগে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব মাঝের পাড়ার আব্দুস সাত্তারকে হত্যা করা হয় বলে তার স্ত্রী হামিদা আক্তার বুধবার ওই আদালতে অভিযোগ দেন।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দেন তিনি।
হামিদা তার অভিযোগে বলেন, “২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে হোয়ানক ইউনিয়নের লম্বাশিয়া পাহাড়ি এলাকায় দুই জলদস্যূর মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আব্দুস সাত্তারকে হত্যা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে পুলিশকে সহায়তা করে ফেরদৌস বাহিনী নামের একটি ‘জলদস্যূ বাহিনী। এ ঘটনায় ওই সময় থানায় পুলিশ মামলা নেয়নি।”
বাদীর আইনজীবী হামিদুল হক বলেন, সে সময় থানায় মামলা না নেওয়ার কারণে ওই বছরের জুলাই মাসে স্বজনরা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন। এ নিয়ে পিটিশনটি ‘ট্রিট ফর অ্যাফায়ার’ হিসেবে গণ্য করতে আদেশ দেয় আদালত।
“সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের স্বজনরা ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই হত্যা মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করতে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে লিখিত দরখাস্ত করে। কিন্তু পুলিশ আবেদনটি আমলে নেয়নি।”
তিনি বলেন, “পরে উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপিল করে এবং তা খারিজ হয়ে যায়। এতে বাদীপক্ষকে নতুন আরেকটি রিট পিটিশন দেওয়ার জন্যও আদালত নির্দেশনা দেয়।”
এছাড়া বুধবার মহেশখালীর একই আদালতে নিহত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার একই ঘটনায় নতুন করে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করলে বিচারক বৃহস্পতিবার আদেশের দিন ঠিক করেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী হামিদুল হক।
তিনি বলেন, যেহেতু ঘটনাটি নিয়ে উচ্চ আদালতে বাদীর দায়ের রিট পিটিশনটি এখনও বিচারধীন রয়েছে, সেহেতু বিচারক নতুন করে দায়ের অভিযোগটি খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ঘটনাটি নিয়ে বাদীকে উচ্চ আদালতে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ওসি প্রদীপ সম্প্রতি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার দায়িত্বে থাকার সময় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ খান হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছেন।