“ঝড়ের খবর আমরা পেয়েছি। এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় হয়নি।”
Published : 26 May 2024, 01:05 PM
ঘূর্ণিঝড় রেমাল ধেয়ে আসার খবরে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করা মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মোংলা বন্দরে ঝড়ের আশঙ্কায় শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই পণ্য ওঠা-নামাসহ সব ধরনের কাজ বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
বন্দরে থাকা দেশী-বিদেশী ছয়টি জাহাজসহ তাদের নিজস্ব জলযানও নিরাপদে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল আরও শক্তি সঞ্চয় করে রোববার সকালে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় মোংলা বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে এবং পণ্য খালাসসহ সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান জানান।
তিনি বলছিলেন, “একটা দুর্যোগ মোকাবিলা করতে যত ধরনের প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়, তার সবই নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দারা এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি। দুর্যোগ শুরু হলে তারা সেখানে ঠাঁই নেবেন বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলার গোবরদিয়া গ্রামের পুঁটিমারী নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা মুন্না শেখ বলছিলেন, “এ নদীর তীরে ঘর বেঁধে বসবাস করে অন্তত চার হাজার মানুষ। আমরা সবাই নিম্নআয়ের। দুর্যোগ মোকাবেলা করেই আমাদের বেঁচে থাকতে হয়।
“ঝড়ের খবর আমরা পেয়েছি। এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় হয়নি।”
রমিছা বেগম বলেন, “সময় হলে এক কিলোমিটার দূরের একটি স্কুলে আমরা পরিবার নিয়ে আশ্রয় নেব।”
বাগেরহাটের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, উপকূলীয় এই জেলার মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও রামপাল উপজেলা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।
“এখন দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি হয়েছে। উপকূলের মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জেলায় ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনাই আমাদের প্রথম কাজ। প্রায় পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালাচ্ছে।
“রোববার সকাল থেকে ওইসব এলাকায় মাইকিং করে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, দুপুরের পর থেকে তারা স্ব স্ব আশ্রয় কেন্দ্রে উঠে যাবে।”
এদিকে বাগেরহাটে ৬৪৩ মেট্রিকটন চাল, নগদ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা।