ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যার অভিযোগ

কক্সবাজারের মহেশখালীতে তিন বছর আগে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একটি মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2020, 01:17 PM
Updated : 12 August 2020, 01:25 PM

বুধবার মহেশখালীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্বাস উদ্দিনের আদালতে অভিযোগটি দায়ের করা হয় বলে বাদীর আইনজীবী শহীদুল ইসলাম জানান।

আদালত অভিযোগটির শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদেশের দিন রেখেছেন বলেও জানান এই আইনজীবী।

এর আগে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার অভিযাগে তার বোনের দায়ের করা মামলায়ও প্রদীপ কুমার দাশকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় তিনি এখন কারাগারে আছেন।

২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নে ‘দুই জলদূস্য বাহিনীর মধ্যে’ কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় আব্দুস সাত্তার নিহত হন। আব্দুস সাত্তার হোয়ানকের পূর্ব মাঝের পাড়ার মৃত মো. নুরুচ্ছফার ছেলে।

ওই ঘটনায় আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তারের করা এই অভিযোগে আরও পাঁচ পুলিশ সদস্যকেও আসামি করা হয়েছে।

ওই সময় মহেশখালী থানার ওসি ছিলেন প্রদীপ কুমার দাশ। আসামি অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, এসএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই শাহেদুল ইসলাম ও এএসআই আজিম উদ্দিন।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ

এছাড়া এই অভিযোগের ২৯ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি করা হয়েছে ‘জলদূস্য ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান’ ফেরদৌসকে (৫৬)। তিনি মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব মাঝের পাড়ার মৃত নুরুল কবিরের ছেলে।

বাদীর আইনজীবী শহীদুল ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে হোয়ানক ইউনিয়নের লম্বাশিয়ার পাহাড়ি এলাকায় ‘দুই জলদস্যু বাহিনীর মধ্যে’ কথিত বন্দুকযুদ্ধে আব্দুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে পুলিশকে সহায়তা করে ‘ফেরদৌস বাহিনী’ নামের একটি ‘জলদস্যু বাহিনী’।

“এই ঘটনায় ওই সময় থানা মামলা নেয়নি বলে অভিযোগে বলা হয়।”

অভিযোগটির তদন্তভার র‌্যাবকে দেওয়ার জন্যও বাদীর পক্ষে আবেদন করা হয়েছে বলে শহীদুল ইসলাম জানান। 

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা রাশেদ।

গত ৫ অগাস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকতসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আসামিদের মধ্যে ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য ৬ অগাস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।