গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক ডিলারের বিরুদ্ধে ১০টাকা দরের ৭৫ মেট্রিকটন চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
Published : 25 Apr 2020, 07:15 PM
গত ১৭ মাস ধরে ডিলার হামিদুর রহমান দেড় শতাধিক দুস্থ মানুষের এ চাল আত্মসাত করছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২২ জন ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- গজারিয়া ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় ৫৬০ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে দেড় শতাধিক ২০১৯ সাল থেকে চলতি এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১৭ মাসে কোনো চাল পাননি। ওই কর্মসূচির ডিলার হামিদুর রহমান এসব সুবিধাভোগীদের ৭৫ মেট্রিকটনের বেশি চাল আত্মসাত করেন। যার বাজারমূল্য ২৩ লক্ষাধিক টাকা।
অভিযোগকারী গজারিয়া ইউনিয়নের বাউশি গ্রামের ছবিয়া বেগম বলেন, “বর্তমানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কাজ ও খাদ্যের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছি। অথচ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় নাম থাকার পরও আমরা চাল পাচ্ছি না।”
ওই এলাকার কায়ছার আলী ও স্বপ্না বেগমও একই অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ফুলছড়ি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলাউদ্দিন বসুনিয়া বলেন, “আমার কর্ম এলাকা সুন্দরগঞ্জ উপজেলা। আমি এখানে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”
উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সভাপতি ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু রায়হান দোলন বলেন, “চাল আত্মসাতের বিষয়ে আমার কাছে কিছু ভিডিও ফুটেজও এসেছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ পেলে ডিলারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডিলার হামিদুর রহমান বলেন, “যারা অভিযোগ করেছেন তাদের নাম অফিস থেকে কেটে তালিকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই এ অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।”