নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের মত উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় নভেল করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন সাজ্জাদ হোসেন।
Published : 11 Apr 2020, 10:43 AM
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হয়েছিল।
ওই বৃদ্ধ নারায়ণগঞ্জে একটি মাছের আড়তে চাকরি করতেন। লকডাউন শুরুর আগে গত ২৪ মার্চ তিনি সেখান থেকে ফাজিলপুরের বাড়িতে ফেরেন।
কয়েক দিন জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভোগার পর অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢাকা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে পরিবার। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই রাতে তার মৃত্যু হয়।
পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় করোনাভাইরাসে মৃত ব্যক্তির সৎকারের প্রটোকল অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। রাতেই ওই বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি অবরুদ্ধ করে ফেলে উপজেলা প্রশাসন।
ফেনী সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা শনিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরীক্ষায় করোনাভাইরাস আসেনি, তাই ওই এলাকা থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে ওই পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে।”
সিভিল সার্জন সাজ্জাদ হোসেন জানান, শুক্রবার রাত পর্যন্ত তার জেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ৩৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ফাজিলপুরের ওই বৃদ্ধসহ ৩৬ জনের পরীক্ষার ফলাফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে। অর্থাৎ তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন।
“তিনটি রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। ফেনীতে এখনও কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। তারপরও সকলকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।”