নাটোরের বড়াইগ্রামে তালাবদ্ধ একটি ঘর থেকে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার কর হয়েছে; যাকে ওই ঘরে তার মা-বাবা আটকে রেখেছিল বলে প্রতিবেশীদের ভাষ্য।
Published : 26 Mar 2020, 07:03 PM
নিহত আঁখি খাতুন (১৫) আঁখি বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মালিপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়াজীর মেয়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
প্রতিবেশীদের বরাতে বড়াইগ্রাম থানার বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক তৌহিদুর রহমান বলেন, “আঁখিকে তার বাবা-মা গত ছয়মাস ধরে একটি ঘরে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে রেখেছিলেন। ওই ঘরে কোনো লাইট বা ফ্যান ছিলো না। মেয়েটিকে খাবার দেওয়া হত দরজার নিচ দিয়ে।
বুধবার সন্ধ্যায় ওই ঘর থেকে আখিঁর লাশ উদ্ধারের পর স্বজনরা তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টার করলে প্রতিবেশীরা বাধা দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় বলে জানান তিনি।
প্রতিবেশী রাজিয়া বেগম বলেন, “আঁখিকে একট স্কুলের চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাকে আর পড়তে দেওয়া হয়নি। সব সময় আঁখির বাবা-মা তাকে ঘরে তালাবন্দি করে রাখত। গ্রামে কারো বাড়িতে বা কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতো না। ”
আঁখির মা নাসিমা বেগম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আঁখি অসুস্থ ছিল, তাই মারা গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম বলেন, “যতদূর জানি ও দেখেছি মেয়েটি সুস্থ ছিল।’