রংপুরে শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ আরো দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। শীত জেঁকে বসার পর থেকে এ নিয়ে জেলায় নয়জন অগ্নিদদ্ধ হয়ে মারা গেলেন।
Published : 09 Jan 2020, 02:48 PM
বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রমেক) বার্ন অ্যান্ড সার্জারি বিভাগে কর্মকর্তা।
নিহতরা হলেন-রংপুর নগরীর কোটারপাড়া এলাকার মৃত সাকির উদ্দিনের স্ত্রী আরেফা বেগম (৮৫) এবং নগরীর স্টেশন আলমনগর এলাকার মানিক মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৯০)।
গত ২০ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার বছরের এক শিশুসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয় জন; যাদের মধ্যে সাত জন নারী রয়েছেন।
এ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক সোহানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তীব্র শীতে উষ্ণতা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে বৃদ্ধা আরেফা বেওয়া ও মনোয়ারা বেগম দগ্ধ হন। তারা দুজনেই গত ৪ জানুযারি বার্ন ইউনিটে ভর্তি হন।
“তাদের শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।”
এছাড়াও বর্তমানে এ হাসপাতালে ২৮ জন অগ্নিদগ্ধ চিকিৎসাধীন রয়েছে; যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশংকাজনক বলেও জানান তিনি।
এছাড়া গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে গুরুতর অসুস্থ সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রংপুর অঞ্চলে শীত মৌসুমে খড়কুটো পুড়িয়ে আগুন পোহানো সাধারণ রীতি। এবারের শীত মৌসুমে ডিসেম্বরের শেষার্ধে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। ২৯ ডিসেম্বর রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় থার্মোমিটারের পারদ নেমে যায় ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ মৌসুমে এটাই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ মাসে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলছে আবহাওয়া অফিস।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।