রাঙামাটিতে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’ এর ঘেরাওয়ের মুখে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর বসেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা।
Published : 23 Dec 2019, 11:56 AM
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ভবনে স্থাপিত কমিশনের জেলা কার্যালয়ে রোববার সকাল ১০টায় এ সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে তা এক ঘণ্টা পর শুরু হয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে পার্বত্য বাঙালিভিত্তিক নব গঠিত সংগঠন ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’-এর নেতাকর্মীরা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রবেশপথে অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারীদের ঘেরাওয়ে শহরের এ প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ থাকায় রাঙামাটি শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
এ সময় তিনি ঘেরাওকারীদের সাথে পৃথক বৈঠক এবং তাদের দাবিদাওয়া সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া এবং দেশের সংবিধান ও আইনের বাইরে কিছু না করার ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণার পর ঘেরাও তুলে নিয়ে মিছিল করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দিকে চলে যায় নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা।
পাহাড়িদের সশস্ত্র সংগ্রামের অবসানে ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়াম লীগ সরকার ও পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির মধ্যে চুক্তি হয়-যা শান্তি চুক্তি নামে পরিচতি।
দীর্ঘদিন আঞ্চলিক দলগুলোর সাথে নানা টানাপোড়েনে কমিশনের কার্যক্রমে স্থবির থাকলেও সম্প্রতি সক্রিয় হয়েছে এ কমিশন। সংশোধিত আইনের ভিত্তিতে বিধিমালা প্রণয়ন করে পাহাড়ি জমির বিরোধ মেটানোর উপর জোর দিচ্ছে সরকার। তবে ভূমি নিষ্পত্তির বিধির কয়েকটি শর্ত নিয়ে এই আন্দোলনকারীদের আপত্তি রয়েছে।
বিরোধপূর্ণ ভূমি নিয়ে কমিশনের কাছে তিন পার্বত্য জেলা থেকে তিন হাজার ৯৩৩টি আবেদন জমা পড়ে-এর মধ্যে রয়েছে খাগড়াছড়ির ২ হাজার ৮৩৯টি, রাঙামাটির জেলায় ৭৬৯টি, বান্দরবানের ৩২৫টি আবেদন।
রোববার ঘেরাও কর্মসূচি শেষে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেন।