প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানকে সহায়তা করতে দলে সুবিধাভোগীদের না আনার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
Published : 26 Nov 2019, 06:23 PM
মঙ্গলবার রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সন্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, ক্ষমতার দাপট না দেখিয়ে সাধারণ জীবনযাপন করূন। ঘরের মধ্যে ঘর করবেন না। মাদক ব্যবসায়ী, সেবনকারী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ সুবিধাভোগীদের কাছে টানবেন না।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানকে সহায়তা করুন। আর বসন্তের কোকিলদের দলে টানবেন না। পরে তাদের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাবেন না। তাদের না বুলন।”
যে রংপুরের মানূষ এক সময় কষ্টে জীবনযাপন করত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেই অঞ্চলে এখন আর মঙ্গা নেই বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।
“এখানকার মানূষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার মঙ্গাকে জাদুঘরে পাঠিয়েছে। রংপুরে এখন উন্নয়ন হয়েছে। বগুড়া থেকে চার লেনের সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।”
রংপুর থেকে বুড়িমারী এবং রংপুর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত চারলেন সড়কের নির্মাণ কাজ অল্প কিছুদিনের মধ্যে শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
৪২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রংপুর-সন্দরগঞ্জ সড়ক নির্মিত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রংপুর-গংগাচড়া সড়কসহ এখানকার আঞ্চলিক সড়কগুলো সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
রংপুর অঞ্চলের শতকরা ৯৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় রাখতে হবে বলে মনে করেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি আবারও দলের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগে ‘সেশন জট’ হয়েছে এবং দল সেই জট দ্রুত কাটিয়ে উঠছে বলেও তিনি জানান।
সন্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকে রংপুর জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে সন্মেলন স্থল রংপুর টাউন হল মাঠে আসতে থাকেন। এক সময় সন্মেলন স্থলসহ আশপাশের এলাকায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
বেলা সাড়ে ১২টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মহানগর সভাপতি শাফিয়ার রহমান সাফি, জেলা সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু প্রমুখ।