নুহাশ পল্লিতে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালিত

গাজীপুরের নুহাশ পল্লিতে নানা আয়োজনে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালিত হয়েছে।

আবুল হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2019, 12:39 PM
Updated : 13 Nov 2019, 12:39 PM

৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা নুহাশ পল্লিতে এসে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। 

অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহাপাঠ, কবর জিয়ারত ও মোনাজাত।

নুহাশ পল্লির ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, রাত ১২টা ১ মিনিটে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে হুমায়ুন আহমেদের হতে গড়া নুহাশ পল্লিতে ৭৭১টি মোমবাতি প্রজ্বালন করেন নুহাশ পল্লির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ভোর ৫টার দিকে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশ পল্লিতে আসেন বলে জানান বুলবুল।

বুলবুল বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাওন দুই ছেলেকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবরের পাশে ফাতেহা পাঠ, কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন।

জিয়ারত শেষে নুহাশ পল্লিতে হোয়াইট হাউসের পাশে স্থাপিত হুমায়ূন আহমেদের ম্যুরালের সামনে আপেল গাছ তলায় ৭১তম জন্মদিনের কেক কাটেন তার দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত।

এ সময় শতাধিক হুমায়ূনভক্ত ভক্ত, গণমাধ্যমকর্মী ও নুহাশ পল্লির কর্মচারীসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

জন্মদিন উপলক্ষে নুহাশ পল্লির ভাষ্কর আসাদ খান তার একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী করেন। এতে কাঠ দিয়ে তার তৈরি ৭১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়।

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নুহাশ পল্লিতে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।

হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।

হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি যাদুঘর নির্মাণ প্রসঙ্গে শাওন বলেন, নুহাশ পল্লির ভিতরে একটি জায়গা তিনি মনে মনে পছন্দ করে রেখেছেন।

যে জায়গায় হুমায়ূন আহমেদ অনেক হাঁটাহাঁটি করতেন অনেক লম্বা একটা জায়গা যেখানে গাছ কাটতে হবে না। আর হুমায়ূন আহমেদের হাতে লাগানো একটি গাছও যেন না কাটতে হয় সে বিষয়টি মাথায় রাখতে চেয়েছেন।

স্মৃতি যাদুঘরের জন্য জায়গা নির্ধারণ এবং প্রাথমিকভাবে একটি ডিজাইনও করা হয়েছে, যা শাওন নিজে করেছেন বলে জানান।

তিনি বলেন, “যাদুঘর করার ব্যাপারে পরিবারের সবার সম্মতির জন্য অপেক্ষা করছি। বিষয়টি হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সবাইকে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই আমরা সম্মতি পাব এবং হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি যাদুঘর নির্মাণ শুরু হবে।”

শাওন বলেন, হুমায়ূন আহমেদের গ্রামে কোনো মাধ্যমিক স্কুল ছিল না বলে তিনি গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়ার কুতুবপুরে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। এ স্কুলটির নাম শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ। হুমায়ূন আহমেদের ৭১তম জন্মদিনে সবচে বড় যে সুখবর সেটা হচ্ছে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ নিন্ম মাধ্যমিক পর্যন্ত এ বছর এমপিওভুক্ত হয়েছে।