দিনাজপুরে প্রাচীন স্থাপত্য শৈলীর নিদর্শন কান্তজীউ মন্দির প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী রাস মেলা শুরু হয়েছে।
Published : 12 Nov 2019, 11:13 AM
সোমবার মধ্যরাতে শ্রীকৃষ্ণের রাস লীলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে তার আগেই সন্ধ্যায় এ মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
মেলা উদ্বোধন করতে গিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সৌহার্দের যেন কোন ব্যাঘাত না ঘটে সেটিই হলো এই রাস মেলার মূল প্রতিপাদ্য।
“১৭৫২ সাল থেকে সব ধরনের প্রতিপ্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এই মেলা চলে আসছে। এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি প্রতীক এই কান্তজীউ মন্দির।”
রাসমেলা মণিপুরীদের প্রধান উৎসব হলেও বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও এ উৎসব পালন করে থাকে। ‘রাসলীলা’ নামেও পরিচিত এ উৎসব কার্তিক-অগ্রহায়ণের পূর্ণিমা তিথিতে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ, সুন্দবনের দুবলার চর ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতেও পালিত হয়।
রাস পুর্ণিমার রাতে রাধা-কৃষ্ণের রাস উৎসব উপলক্ষে প্রতিবছর দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় অবস্থিত কান্তজীউ মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় রাস মেলা।
এ মেলার আয়োজক রাজ দেবোত্তর এস্টেটের সদস্য প্রবীণ শিক্ষক পুলিন বিহারী চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাস উৎসব একদিনই হয় রাস পূজার মধ্য দিয়ে।
“আর এই উৎসবকে ঘিরেই হয় মাসব্যাপী রাস মেলা।”
তিনি জানান, দিনাজপুরের মহারাজা প্রাণনাথ ‘বৃন্দাবন থেকে কৃষ্ণমূর্তি নিয়ে আসেন এবং স্বপ্নাদৃষ্টি হয়ে’ কাহারোলের এই নির্জন স্থানে কৃষ্ণকে অধিষ্ঠিত করেন।
তবে এবার দক্ষিণাঞ্চলে দুর্যোগের কারণে দর্শনার্থীর কিছু কম হবে মনে করছেন তিনি।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কান্তজীউ মন্দিরের রাস মেলা শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
রাস পূর্ণিমার রাত থেকেই এখানে ভিড় করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো ভক্ত, পূণ্যার্থী ও দর্শক। কেউ আসেন মনোবাসনা পুরণে, কেউ পুণ্যতা লাভের আশায়, আবার কেউ আসেন মন্দির দর্শনে বলে আগতরা জানান।