প্রিসাইডিং অফিসার জানান, ওই যুবক দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ছিলেন৷ তাকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
Published : 08 May 2024, 06:03 PM
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টকে ৬ মাসের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ৷
বুধবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন সাগর জানান৷
যুবক ওমর ফারুক নাঈম কেন্দ্রটিতে দোয়াত-কলম প্রতীকের এজেন্ট হিসেবে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “ওই যুবক জাল ভোট দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন৷ প্রিসাইডিং অফিসার তাকে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন৷ তার কাছে ব্যালট সদৃশ পেপার পাওয়া গেছে৷
প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছেন, ওই যুবক দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ছিলেন৷
নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইমরান মোল্লা তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
দোয়াত-কলম প্রতীকে এ উপজেলায় লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ৷
তার বিপরীতে আছেন তিন প্রতিদ্বন্দ্বী৷
তারা হলেন- চিংড়ি প্রতীকে আতাউর রহমান মুকুল, আনারস প্রতীকে মাকসুদ হোসেন ও হেলিকপ্টার প্রতীকে মাহমুদুল হাসান শুভ৷
এর আগে, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী এলাকার হাজরাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় দুই কিশোরীকে আটক করেন প্রিজাইডিং অফিসার।
যদিও কিছুক্ষণ পর দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থীর ব্যাজ পরা স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এসে দুই কিশোরীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় বলে প্রতক্ষ্যদর্শী ও উপস্থিত ভোটাররা জানান৷
তারা জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহসীন ও দোয়াত-কলমের এজেন্টরা ওই কিশোরীদের নিয়ে আসেন। দুই কিশোরীর মধ্যে একজনের বাবা এমএ রশিদের সমর্থক।
জানতে চাইলে এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, “সন্দেহ হওয়ায় আমরা তাদের আটক করি। তারা এখানকার ভোটার না, ভোটার তালিকায় তাদের নাম নেই। তারা যেহেতু এ কেন্দ্রের ভোটার না তাই আমরা ছেড়ে দিয়েছি। এরপরও যদি ভোট দেওয়ার জন্য জোর করতো তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম।”