বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে,গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি জামালাপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বন্যার কারণে জামালপুর-শেরপুর সড়ক দিয়ে আটদিন যান চলাচল বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকাল থেকে আবার শুরু হয়েছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক গোলাম মোস্তফা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্র সেতু পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শেরপুর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার ঘোষ জানান,বন্যার পানি কমে যাওয়ায় শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক সড়কের নন্দীর বাজার পোড়াদোকান এলাকা দিয়ে শুক্রবার ভোর থেকে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে শেরপুর-জামালপুর সড়কে পোড়ার দোকান ও শিমুলতলি এলাকায় প্রবলবেগে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় গত শনিবার থেকে (১৮ জলাই ) সেখান দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়া বন্যার পানিতে ডুবে নয় শিশু ও বজ্রপাতে একজন জনসহ ১৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বন্যায় জেলার ২৮৫ হেক্টর সবজির ক্ষেত, ১ হাজার ১৫৫ হেক্টর রোপা আমন ধানের বীজতলা,পাট ৬০ হেক্টর এবং ৫৭৫ হেক্টর জমির আউস ধানের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ৫০০ সম্পূর্ণ ঘরবাড়ি, দুই হাজার ২০৫টি আংশিক ঘরবাড়ি।
বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে জেলা প্রশাসনের আওতায় ইতোমধ্যে মোট ১০৫ মেট্রিকটন চাল ও নগদ দেড় লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এসব এলাকায় ৫৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।