ঢাকা-বেনাপোল রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে, যা ঢাকার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 17 Jul 2019, 03:09 PM
বুধবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে উদ্বোধনের পর সোয়া ১টায় ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর পাইলট ছিলেন বেনজির আহম্মদ।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান পরিবহন তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজসহ আওয়ামী লীগ নেতা ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন এ সময় বেনাপোল রেলস্টেশনে ছিলেন।
ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫৩৪ টাকা, তাপানুকূল চেয়ার ১০১৩ টাকা, তাপানুকূল প্রথম শ্রেণি ১২১৩ টাকা এবং তাপানুকূল বার্থ টিকেটের দাম ১৮৬৯ টাকা ধরা হয়েছে বলে তিনি জানান।
শাহ নেওয়াজ বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস নামের এ ট্রেনে রয়েছে বিমানের মতো পরিবেশবান্ধব বায়ো-টয়লেটসহ অত্যাধুনিক সব সুবিধা। এতে ঢাকা থেকে বেনাপোল যেতে সময় লাগবে আট ঘণ্টা। এ ট্রেনে রয়েছে নতুন ১২টি কোচ। তার মধ্যে দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। প্রচলিত সুইং দরজার পরিবর্তে এসব কোচে রয়েছে নিরাপদ স্লাইডিং দরজা। প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে, যা দেশে এই প্রথম।
ট্রেনযাত্রী বেনাপোল পৌর কাউন্সিলার মিজানুর রহমান বলেন, “এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাসের চেয়ে ট্রেনে যাতায়াত নিরাপদ ও আরামদায়ক। ট্রেনে যাতায়াত করতে সবাই স্বচ্ছন্দ্য বোধ করে। এই ট্রেনের যাত্রী হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।”
বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাফিজুর রহমান বলেন, “ইতিহাসের সাক্ষী হতে এই ট্রেনের যাত্রী হয়েছি।”
এ সময় বেনাপোল রেলস্টেশনে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, ঝিকরগাছার সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, শার্শা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জুসহ আওয়ামী লীগ নেতা ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।