জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, বর্ষায় মধুমতী নদীর পানি ঠেকিয়ে বন্যা মোকাবিলা আর পানি আটকে রেখে খরা মৌসুমে সেচকাজে ব্যবহারের জন্য এই গেটগুলো নির্মাণ করা হয় গত শতকের নব্বইয়ের দশকে।
উলপুর, বৌলতলী, গান্ধিয়াশুর, ভেন্নাবাড়ি, বানিয়ারচর, জলিরপাড়া ও গঙ্গারামপুরে এই স্লুইসগেটগুলো বানানো হয়। সবই মধুমতীর সঙ্গে সংযুক্ত খালের মুখে।
বৌতলী গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম শরীফ (৫০) বলেন, স্লুইচগেটের কারণে চর পড়ে খালে নদীর পানি আসা বন্ধ হয়ে গেছে। পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
“শ্যালো মেশিনের স্বচ্ছ পানিতে জমি নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া আবাদে খরচ বাড়ছে।”
তাছাড়া প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে গৃহকর্মের জন্য পানি সংগ্রহ করতে হয় বলে জানালেন গান্ধিয়াশুর গ্রামের গৃহবধূ দিপ্তী পাণ্ডে (৪০) ও মঙ্গলী পাণ্ডে (৩৬)।
সদর উপজেলার সাতপাড় পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষক অচিন্ত পাণ্ডে (৩৫), উলপুর গ্রামের কৃষক নওশের চৌধুরীসহ (৪৬) স্লুইচগেট অপসারণ ও খাল খননের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই স্লাইচগেটগুলো অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
“আশা করছি দ্রুতই আমরা এগুলো অপসারণ করতে পারব। পাশাপশি নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করে ভরাট সাতটি খাল খনন করা হবে। ইতোমধ্যেই আমরা প্রকল্পের স্কিম করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্কিমগুলো পাঠানো হবে। অনুমোদন হলেই আমরা খাল খনন শুরু করব।”