কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্সকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় বাসটির কাউন্টার মাস্টারও জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Published : 15 May 2019, 11:16 PM
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার জাহান বলেন, “আসামি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।”
রফিকুল ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটের স্বর্ণলতা পরিবহনের কটিয়াদি উপজেলার কাউন্টার মাস্টার।
পরিদর্শক সারোয়ার বলেন, আট দিনের রিমান্ড শেষে রফিকুলকে বুধবার বিকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আল মামুনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এর আগে একই আদালতে মামলার অন্য আসামি বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু ও চালকের সহকারী লালন মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ মামলার অন্য দুই আসামি খোকন মিয়া ও বকুলকে আট দিনের বিমান্ড শেষে বুধবার আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরিদর্শক সারোয়ার বলেন, খোকন ও বকুলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। দ্রুতই বাকি আসামিদের আটক করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া সম্ভব হবে।
রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালের ২৩ বছর বয়সী এই নার্স গত ৬ মে বিকালে বাড়ি আসার জন্য ঢাকার মহাখালী থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন।
রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে কিশোরগঞ্জের জামতলী এলাকায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের পাশ থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী। কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন বাসচালক নূরুজ্জামান, চালকের সহকারী লালন মিয়া, স্বর্ণলতা পরিবহনের কটিয়াদি উপজেলা কাউন্টার মাস্টার রফিকুল ইসলাম রফিক এবং খোকন মিয়া ও বকুল মিয়া নামে দুই ব্যক্তি।