শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় বেগুনি রঙের দুটি ধানক্ষেত এলাকাবাসীর নজর কেড়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
Published : 08 Apr 2019, 07:11 PM
নকলা উপজেলার বারইকান্দি গ্রামের শামসুর রহমান আবুল এক বিঘা জমিতে এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার ভেদীকুড়া গ্রামের শাহিনুর আলম পাঁচ শতাংশ জমিতে এই ধান আবাদ করছেন।
শেরপুর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, “এটা দেশি জাতের ধান। আগে অন্যান্য জেলায় চাষ হয়েছে। এবার শেরপুরে হচ্ছে।”
অন্য জেলায় চাষ হলেও নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “শেরপুরের ক্ষেতগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ফলন কী রকম হবে তা জানতে ধান কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ফলন ভাল হলে ধানগুলো বীজ হিসেবে রাখা হবে।”
চাষিরা এ ধান নিয়ে আশাবাদী।
কৃষক শামসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত বছর পত্রিকার একটি খবরে এ ধানের খোঁজ পান তিনি। পরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় কুমিল্লা থেকে বীজন সংগ্রহ করেন।”
ক্ষেতের বর্তমান অবস্থা দেখে তিনি আশা করছেন অন্য ধানের চেয়ে ফলন ভাল হবে।
অপ্রচলিত এই ক্ষেত এলাকাবাসীর নজর কেড়েছে জানিয়ে শামসুর রহমান বলেন, “ফলন ভাল হলে আগামী বছর অনেকেই এই ধান আবাদ করবেন বলে শুনছি।”
নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, চাষিকে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়াসহ ক্ষেত নিয়মিত তদারক করা হচ্ছে। ফলন ভাল হলে এর বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য কৃষকরাও বেগুনি রঙের এ ধান সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরীফ ইকবাল বলেন, এ এলাকায় এ জাতের ধান নতুন। তাই কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে। ফসল ওঠার পর পুষ্টিগুণ যাচাই করা হবে। তারপর এর বিস্তার ঘটানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।
এ ধান চাষে ১৪৫ থেকে ১৫৫ দিন সময় লাগে বলে তিনি জানান।