শিক্ষকের উপর শিক্ষার্থীর হামলার অভিযোগ তুলে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দাশেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) শিক্ষকদের একাংশ প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করেছেন।
Published : 15 Nov 2018, 07:20 PM
বৃহস্পতিবার মুখে কালো কাপড় বেঁধে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক কৃষ্ণ চন্দ্র রায় ও ফাতিহা ফারহানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্ননি হওয়ার পর তাদরে বর্ধিত বেতন দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে বুধবার সন্ধ্যায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক বিধান চন্দ্র হাওলাদারের কক্ষে প্রবেশ করেন।
“এ সময় কয়েকজন শিক্ষকের ইঙ্গিতে একদল ছাত্র কক্ষে প্রবেশ করে তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করে।”
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন তারা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালাবেন। লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার এবং সহকারী অধ্যাপকদের বর্ধিত বেতন না দেওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম সহকারী অধ্যাপকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তারাও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এদিকে, সহকারী অধ্যাপকরা অযৌতিক দাবি নিয়ে ট্রেজারারের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করেছেন অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সফিউল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। উপরন্তু সহকারী অধ্যাপকরা ট্রেজারারকে অবরুদ্ধ করে রাখলে সিনিয়র শিক্ষক ও ছাত্ররা তাকে উদ্ধার করেন।”
অধ্যাপক সফিউল আরও বলেন, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর ১৩ (৩) ধারায় স্পষ্ট বলা আছে পদোন্নতির ক্ষেত্রে মূল বেতন ছাড়া অন্য কোনো ইনক্রিমেন্ট পাবেন না তারা।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক কৃষ্ণ চন্দ্র রায় বলেন, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর ২৮ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে উরোক্ত বেতনসহ বিভিন্ন সময়ে জারি করা পরিপত্র/প্রজ্ঞপন যে নামে থাকুক না কেন সুবিধা বলবৎ থাকবে।
“এছাড়া কর্তৃপক্ষের যুক্তি যদি সঠিক হয় তাহলে এটি ২০১৫ সালে কার্যকর না করে ২০১৮ সালে কেন করা হচ্ছে?” প্রশ্ন রাখেন কৃষ্ণ চন্দ্র রায়।