নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে একটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত, একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন।
Published : 22 Oct 2018, 10:00 AM
উপজেলার টেপাখড়ি বাড়ি, গয়াবাড়ি ও খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ২৭টি কেন্দ্রে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।
গণনা শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিমলা উপজেলা পরিষদ হলরুম থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয় বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান।
টেপাখড়ি বাড়ি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ময়নুল হক। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৯৬৭টি ভোট পেয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিদায়ী চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সাহিন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৯৩টি ভোট।
গয়াবাড়ি ইউনিয়নে চেয়াম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সামসুল হক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে তিনি ৭ হাজার ২৪১ ভোট পেয়েছেন।
খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল ইসলাম লিথন পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪২৭ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৮১৮ ভোট পেয়েছেন।
টেপাখাড়ি বাড়ি ও গয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রির্টানিং কর্মকর্তা ডিমলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায়।
আর খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ফলাফল ঘোষণা করেন রির্টানিং কর্মকর্তা ডিমলা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমাজ সেবা কর্মকর্তা রাজিউর রহমান।
এই তিন ইউনিয়নে নির্বাচনের জন্য ২০১৬ সালে তফসিল ঘোষণা হলেও সীমানা জটিলতায় ভোট আটকে যায়। ওই জটিলতার নিষ্পত্তি হওয়ার পর গত ২০ সেপ্টেম্বর নতুন করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
বিলুপ্ত তিনটি ছিটমহলের নাগরিকরা এ নির্বাচনেই প্রথমবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলেন।
তিনটি ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩১ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ৯০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিন ইউনিয়নে মোট ভোটার ছিলেন ৪৪ হাজার ৪ জন।