আগামী সেপ্টেম্বর থেকে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জউল্লাহ।
Published : 27 Jul 2018, 07:43 PM
শুক্রবার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে এসে তিনি একথা বলেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতির ঘটনার পর শুক্রবার কয়লা খনি ও তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন বিদ্যুৎ সচিব, জ্বালনি সচিব এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান।
পরিদর্শন শেষে আবুল মনসুর মো. ফয়জউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, তারা চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে কথা বলেছেন।
“আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে খনি থেকে পুরোদমে কয়লা উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব।”
তিনি বলেন, চীনা শ্রমিক ও বাংলাদেশি শ্রমিকরা নিজেরাই ছুটি বাতিল করে কাজে যোগদান করেছেন। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যেই কয়লা উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব।
পরিদর্শনকারীদের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস এবং জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুমিনও ছিলেন।
সিরাজগঞ্জে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এতে ঘাটতি কমে এসেছে বলে তিনি জানান।
জ্বালানি ও খনিজসম্প বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুমিন বলেন, “খনিতে কয়লার যে মজুদ থাকার কথা সেটা নেই। তারা সিস্টেম লসের কথা বলছে; আমরা কোনো কথা বিশ্বাস করছি না। আমরা তদন্ত করছি, মামলা হয়েছে, দুদক তদন্ত করছে, তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (সংরক্ষণ) মাহবুবুর রহমান।
বড় পুকরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির কয়লা দিয়ে চলে পাশে অবস্থিত ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লা খনির ইয়ার্ডেই থাকত। কিন্তু হঠাৎ করে কয়লা সঙ্কট দেখা দেওয়ায় গত রোববার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন।
দুদক কর্মকর্তারা সোমবার পরিদর্শনে গিয়ে খনির ইয়ার্ডে দুই হাজার টন কয়লা পান, যদিও কাগজে-কলমে সেখানে এক লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লা মজুদ থাকার কথা।
বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করে ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে খনি কর্তৃপক্ষ।