চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রাইভেট কারে তুলে এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গাজীপুরে এক ব্যক্তিকে পিটুনির পর পুলিশে দিয়েছে জনতা।
Published : 22 May 2018, 08:05 PM
সোমবার গভীর রাতে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে শ্রীপুর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান।
গ্রেপ্তার কবীর হোসেন (৪৬) শ্রীপুর পৌরসভার উজিলাবো গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে।
ঘটনার শিকার মেয়েটির অভিযোগ, তিনি একজন প্রসাধনী পণ্য বিক্রেতা। শ্রীপুর পৌর শহরের গড়গড়িয়া নতুন বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
কবীরের সঙ্গে মাস খানেক আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে প্রায়ই কবীর হোসেন তাকে ফোন দিতেন বলে জানান মেয়েটি।
তিনি বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে তাকে পোশাক কারখানায় চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে মাওনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভারের কাছে আসতে বলেন কবীর।
“সেখানে যাওয়ার পর কবীর তাকে জোরপূর্বক একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।”
ওই সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে কবীর হোসেনকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয় বলে তিনি জানান।
শ্রীপুর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ভিক্টিমকে পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে কবীর মেয়েটিকে বাসা থেকে ডেকে আনেন। পরে প্রাইভেট কারে উঠিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
“পরে ৯৯৯ নম্বরে ধর্ষণ চেষ্টার তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।”
তার ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয় বলে জানান ওসি।
এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে মঙ্গলবার শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি আরও জানান, কবীর হোসেন ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।