রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনের মুখে এ আদেশ জারি করেছে প্রশাসন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক জরুরি নোটিশে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তৃতীয় দিনের মাথায় এই আদেশ জারি করল প্রশাসন। প্রায় দুই মাস ধরে এ বিভাগে প্রধানের পদ শূন্য আছেবলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবারের আদেশে বলা হয়েছে, “সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যাহত রাখতে অ্যাকাডেমিক ভবন, লাইব্রেরি ভবন ও প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন আদেশকে ‘জরুরি অবস্থা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তারা বলছেন, অতীতে এমন আদেশ জারি করে তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রশাসনকে। পরে আন্দোলনের মুখে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রিনা মুর্মু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত দাবি সুরাহ করার দায়িত্ব প্রশাসনের। যদি প্রশাসন দাবি না মানে, সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা তাদের জায়গা থেকে আন্দোলন করতে পারে।

“বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের দায় এড়ানোর জন্য এ ধরনের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।”

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পমেল বড়ুয়া বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে নোটিশ জারি করেছে আপাতত দৃষ্টিতে আমরা তা সঠিক মনে করছি। তবে তা যেন দীর্ঘমেয়াদি না হয় সেদিকে প্রশাসনকে খেয়াল রাখতে হবে।”

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিজয় মোহন বলেন, “সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা যা শুরু করছে তাতে প্রশাসন যে আদেশ দিয়েছে সেটি ঠিক আছে। তবে বিষয়টির দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।”

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।