ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হতদরিদ্রের ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
Published : 03 Apr 2018, 08:57 PM
তালিকায় ফ্লুইট দিয়ে পুরাতন নাম মুছে নতুন নামে চাল দেওয়া হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এদিকে, কার্ড না পেয়ে সোমবার ও মঙ্গলবার তারাকান্দার গালাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষোভ করে হতদরিদ্ররা।
কার্ড পাওয়া কয়েকজন হতদরিদ্র হলেন হক মিয়া, ফিরোজা খাতুন, সদর আলী ও রেজিয়া আক্তার।
ফিরোজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা হতদরিদ্র তাই আমাদের নামে হতদরিদ্রের কার্ড হইছে; কিন্তু চাল আনতে গেলে ডিলাররা বলে তোমাদের কার্ড বাতিল করা হইছে খাদ্য অফিস থেকে।
“পরে আমরা খাদ্য অফিসের রানা স্যারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের বলেন তোমাদের আর চাল দেওয়া হবে না। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাদের আর কিছুই বলেননি।”
“বাকি ১৪৪টি কার্ডের লোক না আসায় আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য শরীফ আহম্মেদের নির্দেশে ১০০টি কার্ডের নাম ফ্লুইট দিয়ে মুছে নতুন নামের তালিকা করেছি। বাকি ৪৪টি কার্ড চেয়ারম্যানের জন্য রেখে দিয়েছি।”
গালাগাঁও বাজারের ডিলার আব্দুর রহমান তালুকদার বলেন, “আমার হতদরিদ্রদের তালিকার মধ্যে ২৫টি পুরাতন নাম ফ্লুইট দিয়ে মুছে নতুন নাম সংযোজন করেছেন খাদ্য কর্মকর্তা। তাই আমরাও নতুনদেরই চাল দিচ্ছি। পুরাতনরা এসে ঘুরে যাচ্ছে।”
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম সাইফুল ইসলাম বলেন, একজন হতদরিদ্রের নাম ফ্লুইট দিয়ে মুছে অন্য নাম সংযোজন করা খাদ্য কর্মকর্তার নিয়মের মধ্যে পড়ে না। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংসদ সদস্য শরীফ আহম্মেদ বলেন, “আমি খাদ্য কর্মকর্তাকে হতদরিদ্রের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম সংযুক্ত করার নির্দেশ দেইনি। ভুল হয়ে থাকলে বিষয়টি কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় নয়।”
এ বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “খাদ্য কর্মকর্তা আমাকে না জানিয়ে পুরাতনদের নাম ফ্লুইট দিয়ে মুছে ১৪৪ কার্ডের মধ্যে ১০০টি তার লোকদের মধ্যে বিতরণ করেছেন।
“১৪৪ জন তালিকাভুক্ত হতদরিদ্র কার্ড না পেয়ে প্রতিদিন আমার পরিষদে এসে বিক্ষোভ করছে।”