নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তারের আবেদন গ্রহণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছে কুমিল্লার একটি আদালত।
Published : 12 Mar 2018, 08:33 PM
সোমবার কুমিল্লার আদালতের এই আদেশের ফলে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় এদিন হাই কোর্ট থেকে জামিন পেলেও বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, তাদের নেত্রীকে ‘সাজানো মামলায়’ সাজা দেওয়ার পর ক্ষমতাসীনরা এখন নানা কৌশলে কারাগারে আটকে রাখার চেষ্টা করছে।
কুমিল্লার ৫ নম্বর আমলী আদালতের দায়িতপ্রাপ্ত বিচারক মো. মুস্তাইন বিল্লাহ ২৮ মার্চ খালেদাকে হাজির করতে আদেশ দেন বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জী জানান।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি বাসে পেট্রোল বোমায় আট যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যায়। আহত হয় ২০ জন। ওই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
সুব্রত ব্যানার্জী বলেন, জারি করা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন গ্রহণ করে পরবর্তী দিন বিএনপি চেয়ারপারসনকে আদালতে হাজিরের জন্য পরোয়ানা কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
“বিকালে পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে রায়ের পর থেকে খালেদা কারাবন্দি। তাকে রাখা হয়েছে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন সোমবার হাই কোর্ট থেকে চার মাসের জামিন পেয়েছেন। এর ফলে কারাগারে যাওয়ার ৩২ দিনের মাথায় মুক্তির পথ তৈরি হ্য় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সামনে।