অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়রসহ চার জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
Published : 22 Feb 2018, 04:45 PM
বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক গোলাম মর্তুজা মজুমদার এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী লুৎফুল কিবরিয়া শামীম।
আসামিরা হলেন গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া আহমদ পাপলু, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব যুগেশ্বর চ্যাটার্জি, কার্যসহকারী সাব্বির আহমদ এবং অফিস সহকারী জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবলা।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দুদক সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত মণ্ডল বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় এ মামলা করেছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে ১২টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে তৎকালীন মেয়র পাপলু প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৭২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর মামলা করা হয়। মেয়র থাকাকালে পাপলুর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখে ১৪টি স্মারকে অফিস আদেশ স্বাক্ষর এবং ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।
প্রকল্পের বিল বাবদ ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৭৪ টাকা ওঠানো হয়। এর মধ্যে আসামিরা ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭২২ টাকা আত্মসাৎ করেন। দুদকের সরেজমিন অনুসন্ধানে ১৪টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টির এবং মাস্টাররোলে শ্রমিকদের নাম-ঠিকানার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করা হয়।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পৌরসভার কর্মচারী (সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক) দুলাল আহমদের নামে দুটি প্রকল্প বানিয়ে তার স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ করেন বলেও দুদকের অভিযোগ।
মামলায় আরও বলা হয়, পৌরসভার বিলবোর্ড না লাগিয়ে আসামি সাব্বির আহমদ ৩৯ হাজার ৭২২ টাকা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবলা এক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
গত ৩ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন আসামিরা।
সেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন জানালে আদালত তা নাকচ করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।