‘খেলাপি ঋণের’ কারণ দেখিয়ে রংপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী কাওসার জামান বাবলার মনোনয়নপত্র বাতিলে সোনালী ব্যাংকের আবেদন নাকচ হয়েছে।
Published : 30 Nov 2017, 06:31 PM
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ব্যাংকের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
বাবলার মনোনয়নপত্র ইতিপূর্বে যাচাই-বাছাইয়ে বৈধ হয়েছিল।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান কাজী হাসান আহমেদ সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, সোনালী ব্যাংক বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী কাওসার জামান বাবলার বৈধ মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে ২৭ নভেম্বর আবেদন করে।
“আজ শুনানির সময় বাবলার বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী। ফলে সোনালী ব্যাংকের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।”
এর ফলে মেয়র পদে কাওসার জামান বাবলার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা নেই বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করে কাওসার জামান বাবলা বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে জয়ী হয়েছি। বিএনপি জয়ী হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হব।”
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বাবলা।
২৬ নভেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিনে সাত মেয়র প্রার্থীর মধ্যে কাওসার জামান বাবলার মনোনয়নও বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু ২৭ নভেম্বর খেলাপি ঋণের কারণ দেখিয়ে কাওসার জামান বাবলার মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদন করেন সোনালী ব্যাংকের ঢাকার বৈদেশিক বাণিজ্যিক করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ ইয়াসিন।
মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষিত ৫ স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপিল নাকচ
মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণার বিরুদ্ধে পাঁচ স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর আপিল নাকচ করেছেন বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ।
যাচাই-বাছাইয়ে গত ২৬ নভেম্বর তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং ও রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার।
তারা হলেন- এ কে এম আব্দুর রউফ মানিক, সুইটি আনজুম, আবদুল মজিদ, শাকিল রায়হান ও মেহেদী হাসান বনি।
আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রইলেন সাতজন প্রার্থী।
তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু, বিএনপির কাওসার জামান বাবলা, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ টি এম গোলাম মোস্তফা বাবু, বাসদের আবদুল কুদ্দুস, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম আখতার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ।
ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ৪ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। ভোটগ্রহণ হবে ২১ ডিসেম্বর।