স্থানীয় বাসিন্দারা নগরীর পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বে প্রায় অবিরাম বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দের খবর জানিয়েছেন। এ অংশে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের তুমুল লড়াই চলছে।
Published : 10 May 2024, 05:37 PM
গাজার রাফা নগরীকে পূর্ব ও পশ্চিম অংশে বিভক্তকারী প্রধান সড়ক দখলে নিয়ে রাফার গোটা পূর্বাঞ্চল ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলের ট্যাংক।
স্থানীয় বাসিন্দারা শুক্রবার নগরীর পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বে প্রায় অবিরাম বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দের খবর জানিয়েছেন। নগরীর এই অংশে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের তুমুল লড়াই চলছে।
হামাস জানিয়েছে, তারা নগরীর পূর্ব দিকে একটি মসজিদের কাছে ইসরায়েলি ট্যাঙ্কে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের ট্যাংক যে পূর্বাঞ্চল থেকে নগরীর উপকষ্ঠের কয়েক কিলোমিটার ভেতরে নির্মিত এলাকায় ঢুকে পড়েছে এ তারই লক্ষণ।
ইসরায়েল রাফার পূর্বাঞ্চল থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। হামলার আশঙ্কায় ইতোমধ্যে লাখো মানুষ নগরী ছেড়ে পালিয়েছে। এর আগে এই রাফাই ছিল গাজার অন্যান্য অংশ থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি মানুষের আশ্রয়স্থল।
ইসরায়েল বলছে, হামাস যোদ্ধাদেরকে নির্মূল করতে হলে রাফায় হামলা না চালিয়ে তারা জয়লাভ করতে পারবে না। কারণ, হামাস যোদ্ধারা রাফাতেই আশ্রয় নিয়ে আছে বলে তাদের বিশ্বাস। ওদিকে, হামাস বলছে তারা রাফাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য লড়বে।
রাফার পশ্চিমে তেল আল-সুলতানের বাসিন্দা আবু হাসান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এ নগরী নিরাপদ নয়। গোটা রাফাই নিরাপদ নয়। কারণ, গতকাল থেকে সব জায়গাতেই ট্যাঙ্কের গোলা এসে পড়ছে।
আমি চলে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমার পরিবারের জন্য একটি তাঁবু কিনতে আমি দুই হাজার শেকেল জোগাড় করতে পারছি না।” ইসরায়েলের সেনারা কেবল রাফার পূর্বদিকেই নয়, গোটা রাফাকেই ট্যাংকের গোলা ও বিমান হামলার নিশানা করেছে।”
ইসরায়েলের ট্যাংক এরই মধ্যে রাফার পূর্বাঞ্চলকে সিল করে দক্ষিণ দিক থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। এতে করে মিশর থেকে গাজায় প্রবেশের একমাত্র ক্রসিংটি ইসরায়েলের দখলে রয়েছে এবং বন্ধ হয়ে গেছে।