বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
মিরপুরে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৫ রানে হারাল বাংলাদেশ।
Published : 10 May 2024, 05:39 PM
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ:১৪৩
জিম্বাবুয়ে: ১৯.৪ ওভারে ১৩৮
৫ রানে জিতল বাংলাদেশ
ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ৮ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ছাপিয়ে ৫ রানের জয় পেল বাংলাদেশ। ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ১৩৮ রানে গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৪ রান প্রয়োজন ছিল জিম্বাবুয়ের। বাকি ছিল ২ উইকেট। একটি ছক্কা হজম করলেও ৮ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন সাকিব আল হাসান।
প্রায় এক বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরার ম্যাচে ৩৫ রানে সাকিবের শিকার ৪ উইকেট।
তবে ছোট পুঁজির ম্যাচে ৪ ওভারে স্রেফ ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মুস্তাফিজুর রহমান।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন জোনাথান ক্যাম্পবেল।
ব্যাটিংয়ে নাটকীয় ধসে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ পরে ফিল্ডিংয়েও ছিল ছন্নছাড়া। অন্তত ৪টি ক্যাচ ছেড়ে দেয় তারা। মূলত আইপিএল-ফেরত মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়েই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল স্বাগতিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ:১৯.৫ ওভারে ১৪৩ (তানজিদ ৫২, সৌম্য ৪১, হৃদয় ১২, শান্ত ২, সাকিব ১, জাকের ৬, রিশাদ ২, তাসকিন ০, তানজিম ৬, মুস্তাফিজ ৩, তানভির ৩*; রাজা ৪-০-২৪-১, মুজারাবানি ৩.৫-০-৩০-১, এনগারাভা ৪-০-২৭-২, বেনেট ৩-০-২০-২, জঙ্গুয়ে ৩-০-২০-৩, ফারাজ ১-০-৯-০, মাসাকাদজা ১-০-৭-০)
জিম্বাবুয়ে:১৯.২ ওভারে ১৩৮ (বেনেট ০, মারুমানি ১৪, রাজা ১৭, ক্যাম্পবেল ৩১, মাডান্ডে ১২, বার্ল ১৯, জঙ্গুয়ে ১, ফারাজ ১১, মাসাকাদজা ১৯*, মুজারাবানি ৮, এনগারাভা ০; তাসকিন ৪-০-২০-২, তানজিম ৪-০-৪২-০, সাকিব ৩.৪-০-৩৫-৪, মুস্তাফিজ ৪-০-১৯-৩, তানভির ২-০-১৪-০, রিশাদ ২-০-৬-১)
ফল:বাংলাদেশ ৫ রানে জয়ী
তানজিদের দারুণ ক্যাচে মুস্তাফিজের তৃতীয় শিকার
১৯তম ওভারের প্রথম বলে কভারে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ক্যাচের সুযোগ হাতছাড়া করলেন সাকিব আল হাসান। তবে এক বল পর ভুল করলেন না তানজিদ হাসান। ডিপ স্কয়ার লেগ থেকে অনেকটা দৌড়ে সামনে ঝাঁপিয়ে চমৎকার ক্যাচ নিলেন তিনি।
১০ বলে ১১ রান করে ফিরলেন ফারাজ আকরাম। নিজের শেষ ওভারে তৃতীয় সাফল্য পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
১৮.৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১২৮ রান। ৯ বলে তাদের প্রয়োজন ১৬ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান ব্লেসিং মুজারাবানি।
৭ বলে ১৮ রানে অপরাজিত মাসাকাদজা।
ক্যাম্পবেলকে ফেরালেন সাকিব
নতুন স্পেলে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই সাফল্য পেলেন সাকিব আল হাসান। উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়লেন জোনাথান ক্যাম্পবেল। ১২ রানে বেঁচে যাওয়া ক্যাম্পবেল ২৭ বলে করলেন ৩১ রান।
১০৩ রানে৭ উইকেট হারিয়ে আরেকটি পরাজয়ের শঙ্কায় জিম্বাবুয়ে।
১৬.১ ওভারে সফরকারীদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১০৩ রান। ২৩ বলে প্রয়োজন আরও ৪১ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান ফারাজ আকরাম ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
জঙ্গুয়েকেও ফেরালেন মুস্তাফিজ
রায়ান বার্লের পর একই ওভারে লুক জঙ্গুয়ের উইকেটও নিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বল কাট করে সোজা শর্ট পয়েন্ট ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দেন ১ রান করা জঙ্গুয়ে।
১৫ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৯৪ রান। শেষ ৫ ওভারে তাদের করতে হবে ৫০ রান।
২৩ বলে ২৯ রানে অপরাজিত জোনাথান ক্যাম্পবেল। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান ফারাজ আকরাম।
সৌম্যর দারুণ ক্যাচেবার্লের বিদায়
জীবন পেয়ে জোনাথান ক্যাম্পবেলের সঙ্গে মিলে জিম্বাবুয়েকে আশা দেখাচ্ছিলেন রায়ান বার্ল। কিন্তু বেশি কিছু করতে পারলেন না তিনি। মুস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
লং অফ থেকে অনেকটা দৌড়ে মিড অফের কাছাকাছি ঝাঁপিয়ে অসাধারণ ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার। ২০ বলে ১৯ রান করে ফেরেন বার্ল। তার বিদায়ে ভাঙে ৩৫ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।
১৪.৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৯২ রান। ২২ বলে ২৮ রানে অপরাজিত ক্যাম্পবেল। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান লুক জঙ্গুয়ে।
৩৩ বলে আরও ৫২ রান প্রয়োজন সফরকারীদের।
বার্লকে জীবন দিলেন জাকের
জোনাথান ক্যাম্পবেলের পর এবার বেঁচে গেলেন রায়ান বার্ল। তানজিম হাসানের শর্ট বল পুল করার চেষ্টায় হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। স্কয়ার লেগের দিকে অনেকটা দৌড়ে বলের নিচে যান জাকের আলি। কিন্তু গ্লাভসে জমাতে পারেননি তিনি।
১ রানে বেঁচে গেলেন বার্ল।
১১ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৬১ রান। জোনাথান ক্যাম্পবেল ১২ বলে ১৩ ও বার্ল ৯ বলে ৪ রানে অপরাজিত।
মাডান্ডেকে ফেরালেন রিশাদ
ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ আউটের সুযোগ তৈরি করেওফিল্ডারের ব্যর্থতায় উইকেট পাননি রিশাদ হোসেন। এক বল পর আর কারও সাহায্যের প্রয়োজন হলো না। দারুণ ডেলিভারিতে তিনি এলবিডব্লিউ করলেন ক্লাইভ মাডান্ডেকে।
মিডল-লেগ স্টাম্পে পিচ করা লেগ ব্রেকে রিভার্স সুইপ করার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি মাডান্ডে। বল প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদনে আঙুল তোলেন আম্পায়ার। কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ না নিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন ১৮ বলে ১২ রান করা মাডান্ডে।
১০ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫৮ রান। বাকি ১০ ওভারে তাদের করতে হবে আরও ৮৫ রান।
১২ বলে ১৩ রানে অপরাজিত জোনাথান ক্যাম্পবেল। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান রায়ান বার্ল।
ক্যাচ ছাড়লেন হৃদয়
রিশাদ হোসেনেরলাফানো ডেলিভারি পুল করার চেষ্টায় টাইমিংয়ে গড়বড় হলো জোনাথান ক্যাম্পবেলের। বল উঠে গেল আকাশে। ডিপ স্কয়ার লেগ থেকে দৌড়ে বলের নিচে পৌঁছালেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু হাতে রাখতে পারলেন না তিনি। ১২ রানে বেঁচে গেলেন ক্যাম্পবেল।
৯.১ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫৬ রান। ক্যাম্পবেল ১২ বলে ১৩ ও ক্লাইভ মাডান্ডে ১৬ বলে ১২ রানে অপরাজিত।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে ৩৮
তুলনামূলক ছোট পুঁজি নিয়েও বোলিংয়ে দারুণ শুরু করল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রানের বেশি করতে পারল না জিম্বাবুয়ে।
প্রথম ওভারেই ব্রায়ান বেনেটকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন তাসকিন আহমেদ। নিজের পরের ওভারে তিনি বোল্ড করেন বিপজ্জনক হওয়ার আভাস দেওয়া সিকান্দার রাজাকে। পরে টাডিওয়ানাশে মারুমানিকে এলবিডব্লিউ করে সফরকারীদের চাপ বাড়ান সাকিব আল হাসান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে লড়ছেন জোনাথান ক্যাম্পবেল ও ক্লাইভ মাডান্ডে।
মারুমানিকে ফেরালেন সাকিব
তাসকিন আহমেদের জোড়া আঘাতের পর এবার উইকেট শিকারে যোগ দিলেন সাকিব আল হাসান। স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি সুইপ করার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারলেন না টাডিওয়ানাশে মারুমানি। বল প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদন। সাড়া দিতে সময় নেননি আম্পায়ার।
কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন মারুমানি। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। ৩ চারে ১৩ বলে ১৪ রানে বিদায়ঘণ্টা বাজে জিম্বাবুয়ের ওপেনারের। তিনটি চারই তিনি মেরেছিলেন সাকিবের বলে। তবে তার উইকেট নিয়ে শেষ হাসি হাসলেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনারই।
পরের বলে নতুন ব্যাটসম্যান ক্লাইভ মাডান্ডের বিপক্ষেও জোরাল আবেদন করেন বাংলাদেশ। আর্ম ডেলিভারি আঘাত করে মারুমানির প্যাডে। তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সাকিবের আত্মবিশ্বাস দেখে রিভিউ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
রিপ্লেতে দেখা যায় লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে চলে যেত ওই বল। তাই আর বিপদ ঘটেনি জিম্বাবুয়ের।
৫ ওভারে সফরকারীদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৩ রান।
ভূপাতিত রাজার মিডল স্টাম্প
ব্যর্থতার ধারা থেকে বের হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েও পারলেন না সিকান্দার রাজা। তার মিডল স্টাম্প উপড়ে দলকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দিলেন তাসকিন আহমেদ।
সিরিজের আগের তিন ম্যাচ মিলিয়ে রাজার রান ছিল মোট চার। এ দিন তিন নম্বরে তানজিম হাসানের এক ওভারে বাউন্ডারি মারেন তিনটি। কিন্তু সম্ভাবনাময় ইনিংসকে এগোতে দিলেন না তাসকিন। দায় আছে রাজারও।
শর্ট অব লেংথে পিচ করে তীক্ষ্ণভাবে ভেতরে ঢোকে তাসকিনের বল। রাজা জায়গা দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেন অন সাইডে খেলতে। বল ছোবল দেয় মাঝের স্টাম্পে।
১০ বলে ১৭ রান করে ফিরলেন রাজা। জিম্বাবুয়ের রান ৩.৫ ওভারে ২ উইকেটে ২৮।
নতুন ব্যাটসম্যান জোনাথান ক্যাম্পবেল।
প্রথম ওভারেই তাসকিনের উইকেট
ছোট পুঁজি যেমন শুরু বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল, দলকে তা এনে দিলেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পেসার প্রথম ওভারে বিদায় করলেন ব্রায়ান বেনেটকে।
ওভারের চতুর্থ বলটি বেনেটের শরীর তাক করে শর্ট ডেলিভারি করেন তাসকিন। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওপেন করতে নামা তরুণ ব্যাটসম্যান পজিশনে যেতে একটু দেরি করে ফেলেন। পুল করার জন্য জায়গা তিনি বানাতে পারেননি, টাইমিংও তাই ঠিকঠাক হয়নি। মিড অনে ডাইভ দিয়ে বল মুঠোয় জমান সাকিব আল হাসান।
বেনেট আউট হলেন শূন্য রানেই। দলের রানও শূন্য।
দলের দায়িত্ব কাঁধে নিতে তিনে নেমেছেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
৪২ রানে ১০ উইকেট হারাল বাংলাদেশ!
তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকারেরশতরানের উদ্বোধনী জুটির পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং। স্রেফ ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে গুটিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
সিরিজে দ্বিতীয় ফিফটিতে ৩৭ বলে ৫২ রান করেন তানজিদ। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার করেন ৩৪ বলে ৪১ রান। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০১ রান।
এরপর আর কেউই উইকেটে টিকতে পারেননি। তিন নম্বরে নামা তাওহিদ হৃদয় করেন ১২ রান।আর কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
স্রেফ ২০ রানে ৩ উইকেট নেন লুক জঙ্গুয়ে। এছাড়া ব্রায়ান বেনেট ও রিচার্ড এনগারাভা নেন ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ:১৯.৫ ওভারে ১৪৩ (তানজিদ ৫২, সৌম্য ৪১, হৃদয় ১২, শান্ত ২, সাকিব ১, জাকের ৬, রিশাদ ২, তাসকিন ০, তানজিম ৬, মুস্তাফিজ ৩, তানভির ৩*; রাজা ৪-০-২৪-১, মুজারাবানি ৩.৫-০-৩০-১, এনগারাভা ৪-০-২৭-২, বেনেট ৩-০-২০-২, জঙ্গুয়ে ৩-০-২০-৩, ফারাজ ১-০-৯-০, মাসাকাদজা ১-০-৭-০)
তানজিমকে ফেরালেন এনগারাভা
রিচার্ড এনগারাভার ফুল লেংথ ডেলিভারি দারুণ শটে বাউন্ডারি মারলেন তানজিম হাসান। পরের বলেই শোধ নিলেন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি পেসার। শর্ট বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হলেন ৬ রান করা তানজিম।
১৮.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৩৮ রান। ক্রিজে শেষ দুই ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ও তানভির ইসলাম।
জঙ্গুয়ের ইয়র্কারে বোল্ড রিশাদ
লুক জঙ্গুয়ের নিখুঁত ইয়র্কারের জবাব দিতে পারলেন না রিশাদ হোসেন। অষ্টম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ৪ বলে ২ রান করে ফিরলেন রিশাদ।
১৭.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৩২ রান।
বিপদ বাড়িয়ে ফিরলেন জাকের
উদ্বোধনী জুটিতে শতরানের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং। ২৯ রানের মধ্যে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন স্বীকৃত ৬ ব্যাটসম্যান। আউটের তালিকায় সবশেষ নাম জাকের আলি।
রিচার্ড এনগারাভার অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি দূর থেকে খেলার চেষ্টায় ডিপ থার্ড ম্যাচে ধরা পড়েন ৭ বলে ৬ রান করা জাকের।
১৬.৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩০ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
শান্তকেও ফেরালেন বেনেট
আবারও এক ওভারে দুই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের পর ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
ব্রায়ান বেনেটের কিছুটা জোরের ওপর করা ডেলিভারি অন সাইডে খেলার চেষ্টায় লাইন কাভার করতে পারেননি শান্ত। তার প্যাড ছুঁয়ে বল আঘাত করে অফ স্টাম্পে।
৭ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন শান্ত। সিরিজের চার ম্যাচে তার সংগ্রহ কেবল ৪৫ রান।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২৩ রান। শেষ চার ওভারে ২৩ রানে ৫ উইকেট হারাল তারা।
চাপ সামাল দেওয়ার অভিযানে ক্রিজে জাকের আলি ও রিশাদ হোসেন।
এলেন আর গেলেন সাকিব
তাওহিদ হৃদয় আউট হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে গর্জল ওঠে গ্যালারিতে। কারণ মাঠে পা রাখেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু দর্শকদের বিনোদন দিতে পারলেন না অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। স্রেফ ১ রানে ফিরে গেলেন ড্রেসিং রুমে।
ব্রায়ান বেনেটের রাউন্ড দা উইকেট থেকে সোজা যাওয়া ডেলিভারি ভুল লাইনে ডিফেন্ড করে বোল্ড হলেন সাকিব। দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
১৪.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২২ রান। ক্রিজে শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকের আলি।
টিকতে পারলেন না হৃদয়
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারলেন না তাওহিদ হৃদয়। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ করে সোজা ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়লেন ৮ বলে ১২ রান করা তরুণ ব্যাটসম্যান।
১৩.৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২১ রান। ৩ বলে ২ রানে অপরাজিত নাজমুল হোসেন শান্ত। নতুন ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান।
সৌম্যকেও ফেরালেন জঙ্গুয়ে
একই ওভারে ফিরলেন দুই ওপেনার। লুক জঙ্গুয়ের স্লোয়ার ইয়র্কার অন সাইডে খেলার চেষ্টা এলবিডব্লিউ হলেন সৌম্য সরকার।
৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪১ রান করেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনার।
১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৮ রান। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
তানজিদকে ফেরালেন জঙ্গুয়ে
জীবন পেয়ে কিছুই করতে পারলেন না তানজিদ হাসান। আর মাত্র ১ রান যোগ করে তিনি ফিরলেন ড্রেসিং রুমে। তার বিদায়ে ভাঙল ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
লুক জঙ্গুয়ের বলে বড় শটের খোঁজে শর্ট মিড উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেলের হাতে ধরা পড়েন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ বলে তিনি করেন ৫২ রান।
তিন নম্বরে নেমেছেন তাওহিদ হৃদয়।
১১.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০২ রান। ৩১ বলে ৩৫ রানে খেলছেন সৌম্য সরকার।
তানজিদ-সৌম্যর জুটিতেএকশ
উদ্বোধনী জুটিতে শতরানের জুটি পেল বাংলাদেশ। এই সংস্করণে প্রথম উইকেটে বাংলাদেশের তৃতীয় একশছোঁয়া জুটি এটি। সব মিলিয়ে সপ্তম।
১১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০০ রান। তানজিদ ৩৬ বলে ৫২ ও সৌম্য ২৯ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত।
জীবন পেলেন তানজিদ
সিকান্দার রাজার ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি বড় শটের চেষ্টা করলেন তানজিদ হাসান। কিন্তু সীমানা পার করতে পারলেন না। ক্যাচ উঠল লং অফে। ঠিক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকেও হাতে রাখতে পারলেন না ব্রায়ান বেনেট। ৫১ রানে বেঁচে গেলেন তানজিদ।
১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯০ রান। তানজিদ ৩৬ বলে ৫২ ও সৌম্য সরকার ২৪ বলে ২৫ রানে অপরাজিত।
চমৎকার ব্যাটিংয়ে তানজিদের ফিফটি
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শুরুটা দারুণ করলেন তানজিদ হাসান। প্রথম ম্যাচে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর এবার চতুর্থ ম্যাচে খেললেন আরেকটি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস।
৭ চার ও ১ ছক্কায় স্রেফ ৩৪ বলে মাইলফলক স্পর্শ করেন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার।
কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দুটি ফিফটি করা চতুর্থ বাংলাদেশি তানজিদ। আগের তিনজন লিটন কুমার দাস, তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।
৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৬ রান। তানজিদ ৩৪ বলে ৫০ ও সৌম্য সরকার ২০ বলে ২৩ রানে অপরাজিত।
অভিষেক সিরিজেই তানজিদের রেকর্ড
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক সিরিজেই রেকর্ড গড়লেন তানজিদ হাসান। কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান এখন তার।
ইনিংসের অষ্টম ওভার পর্যন্ত ৩১ বলে ৪২ রানে অপরাজিত তানজিদ। চার ম্যাচে সব মিলিয়ে তার সংগ্রহ ১৪৮ রান।
গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ১৪৪ রান করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৬ রান। ২ ছক্কায় ১৭ বলে ২২ রানে অপরাজিত সৌম্য সরকার।
জুটির পঞ্চাশ, পাওয়ার প্লেতে ৫৭
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় স্কোর গড়ার দারুণ ভিত পেয়ে গেল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনার যোগ করলেন ৫৭ রান।
এতে অগ্রণী তানজিদ হাসান। ৭ চারে ২৭ বলে ৪০ রানে অপরাজিত তিনি। সৌম্য সরকার ৯ বলে করেছেন ৬ রান।
এলোমেলো বোলিং করা জিম্বাবুয়ে অতিরিক্ত দিয়েছে ১১ রান।
তানজিদের ব্যাটে ইতিবাচক শুরু
প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ফিফটির পর পরের দুই টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস বড় করতে পারেননি তানজিদ হাসান। ঢাকায় ফিরে শুরুটা দারুণ করেছেন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে দ্রুত রান তুলছেন তিনি।
দ্বিতীয় ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে প্রথম বাউন্ডারি অবশ্য ব্যাটের কানায় লেগে পেয়ে যান তানজিদ। তবে পরের ওভারে সিকান্দার রাজার বলে স্কুপ ও কাট করে তিনি মারেন দুটি চার।
পরে রিচার্ড এনগারাভা আক্রমণে এলে চমৎকার ড্রাইভে মারেন বাউন্ডারি। পরে বুক সমান উচ্চতার বলে দারুণ কাট শটে মারেন আরেকটি চার। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার এখন পর্যন্ত ছন্দ খুঁজে পাননি।
৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৩ রান। তানজিদ ১৮ বলে ৩০ ও সৌম্য ৬ বলে ২ রানে অপরাজিত।
স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের জন্য নীরবতা
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণ হারানো বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের স্মরণে মিরপুরে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
জিম্বাবুয়েএকাদশে ২ পরিবর্তন
সফরে প্রথম জয়ের খোঁজে থাকা জিম্বাবুয়ে তাদের একাদশে এনেছে জোড়া পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন জয়লর্ড গাম্বি ও ক্রেইগ আরভিন। তাদের জায়গায় এসেছেন রায়ান বার্ল ও রিচার্ড এনগারাভা।
জিম্বাবুয়ে একাদশ:সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ব্রায়ান বেনেট, টাডিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাডান্ডে, লুক জঙ্গুয়ে, রায়ান বার্ল, ফারাজ আকরাম, জোনাথান ক্যাম্পবেল, ব্লেসিং মুজারাবানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা।
৩ পরিবর্তন, বাদ লিটন
টানা ব্যর্থতার পর চতুর্থ ম্যাচের একাদশে জায়গা হারালেন লিটন কুমার দাস। এছাড়া এই ম্যাচে নেই মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
তাদের জায়গায় এলেন সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।
সাকিব ফেরায় বোলিং বিভাগে দুই বাঁহাতি স্পিনারের সঙ্গে থাকছেন লেগ স্পিনার তানভির ইসলাম। পেস বিভাগে মুস্তাফিজের সঙ্গে তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান।
বাংলাদেশ একাদশ:নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, তানভির ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ঢাকায় ফিরে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতলেন সিকান্দার রাজা। বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, টস জিতলে তিনিও আগে ব্যাটিং নিতেন। তাই টসের সিদ্ধান্তে খুশি তিনি।
ব্যাটিংয়ে উন্নতির আশা নিয়ে এবার মিরপুরে শান্তরা
চট্টগ্রামে প্রথম তিন ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে চিন্তার জায়গা রয়ে গেছে টপ-অর্ডার ব্যাটিংয়ে। প্রথম ম্যাচে তিনবার জীবন পাওয়া তানজিদ হাসানের ফিফটি ছাড়া রান নেই ওপরের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে উন্নতির আশা ব্যক্ত করেছেন দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু সন্ধ্যা ৬টায়।
এই ম্যাচ দিয়ে প্রায় এক বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। একাদশে ফেরার সম্ভাব্য তালিকায় আছেন মুস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকারও। ছন্দ হারানো লিটন কুমার দাসকে রাখা হতে পারে একাদশের বাইরে।