বগুড়ায় মা-মেয়ের মস্তক মুণ্ডন: তুফানের স্ত্রী-শাশুড়িসহ গ্রেপ্তার ৬

বগুড়ায় ‘ধর্ষণের শিকার’ এক কিশোরী ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া ঘটনায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের স্ত্রী-শ্বশুর-শাশুড়িসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2017, 02:42 PM
Updated : 31 July 2017, 02:31 PM

এরা হলেন-তুফানের স্ত্রী আশা, তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি, তুফানের শ্বশুর জামিলূর রহমান রুনু, শাশুড়ি রুমি খাতুন এবং তুফানের গাড়ি চালক জিতু ও মুন্না এক যুবক

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, রোববার সন্ধায় পাবনা শহর থেকে মারজিয়া, রুমি খাতুন এবং রাতে বগুড়ার বাদুরতলার বাসা থেকে রুনু এবং ঢাকার সাভার থেকে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়

তুফান সরকার

“রোববার রাত ১০টার দিক বগুড়ার বাদুরতলার বাসা থেকে রুনুকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তিনি মামলার আসামি না হলে তাক সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সাভার থেকে গ্রেপ্তারদের বগুড়ায় আনা হচ্ছে” 

কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’ এবং মা-মেয়েকে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় তুফানসহ ১০জন গ্রেপ্তার হলেন।

বগুড়ার এক কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।

বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে নাপিত দিয়ে মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেন।

ধর্ষণের ঘটনায় শুক্রবার বিকালে ওই কিশোরীর মায়ের করা মামলায় জাতীয় শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফান সরকারসহ গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিন করে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনার পর রোববার তুফানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।