বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, ধর্ষণের ঘটনায় শুক্রবার বিকালে ওই কিশোরীর মায়ের করা মামলায় জাতীয় শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফান সরকারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, তুফানের ‘সহযোগী’ শহরের চকসুত্রাপুর কসাইপাড়া এলাকার আলী আজম দিপু (২২), কালিতলার রুপম (২২) ও খান্দার সোনারপাড়ার আতিক (২৩)।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
“বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ একদল সন্ত্রাসী শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেন।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তুফান ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন জানিয়ে ওসি বলেন, এজাহারে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে কিশোরী এবং তার মাকে অপহরণ, মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।