গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ের ভবন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শ্রেণিকক্ষের বাইরে পাঠদান করতে হচ্ছে।
Published : 28 May 2017, 04:56 PM
গোপালপুর পঞ্চপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি টিন শেড ভবনের চালা গত ১৫ মে ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে কখনও স্কুলের বারান্দায়, আবার কখনও গাছের নীচে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
১৯৫৮ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্কুলের অফিস সহকারী মণি মোহন সেন জানান, বর্তমানে স্কুলে ৭০১ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। শ্রেণিকক্ষ রয়েছে সাতটি। এর মধ্যে ঝড়ে তিনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এক কক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হচ্ছে।
স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্র রক্তিম বাইন বলেন, “ঝড়ে আমাদের শ্রেণিকক্ষ বিধ্বস্ত হয়েছে। আমাদের ক্লাসে ১৪৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এখন কষ্ট করে কখনও স্কুলের বারন্দায় ও কখনওবা গাছ তলায় শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন।”
স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক দেশবন্ধু বিশ্বাস বলেন, বিধি অনুয়ায়ী একটি ক্লাসে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করলে শিক্ষক শিক্ষার্থী সবার মনোযোগ থাকে। শিক্ষকও শ্রেণিকক্ষটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
“কিন্তু আমাদের স্কুলে প্রতি শ্রেণিতেই ২/৩ গুণ বেশি শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাতে হচ্ছে। এতে মনোযোগের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।”
এ সমস্যা নিরসনে তিনি বহুতল ভবন নির্মাণের প্রয়েজনের কথা জানান।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ জালাল বলেন, “জরুরিভিত্তিতে ভবনটি সংস্কারের জন্য আমি জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছি। ফান্ড পাওয়া গেলে বিধ্বস্ত ভবনটি সংস্কার করা হবে।”
বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করার পরামর্শ দেন তিনি।