“রেলপথে খরচ বাড়িয়ে বাস মালিকদের সুবিধা দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে”, বলেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক।
Published : 03 May 2024, 08:15 PM
রেলে ভাড়ায় রেয়াতি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি।
নেতারা বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। এই পরিস্থিতিতে রেল যাত্রায় বাড়তি খরচ করতে হলে তা সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও অতিষ্ঠ করে তুলবে।
সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে রেলের অপচয়,দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা দূর করে অপকর্মে জড়িতদের শাস্তি এবং রেলের বিভিন্ন প্রকল্পের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানানো হয় সমাবেশে।
এতদিন ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় পেতেন রেলের যাত্রীরা। শনিবার থেকে সেই রেয়াত প্রত্যাহার হচ্ছে।
এতে শোভন চেয়ারে একশ কিলোমিটারের বেশি গন্তব্যে ১০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, শীতাতপ কোচে সর্বোচ্চ ৩০০ এবং কেবিনের ভাড়া বেড়েছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
সমাবেশে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “বড় বড় প্রজেক্টের নামে রেলকে আধুনিকায়ন করার কথা বলা হচ্ছে, অথচ এই টাকার যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না।”
টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “ঋণ খেলাপিদের দৌরাত্ম্যে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। সরকার এদেরই তোষণ করে চলছে। সরকার শুধু সিন্ডিকেটের পাহারাদারই নয়,সিন্ডিকেটের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
রেলের ভাড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “রেলপথে খরচ বাড়িয়ে বাস মালিকদের সুবিধা দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। রেলের ভাড়া বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
“রেলে পদ খালি থাকলেও নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। বেসরকারি খাতে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের শত শত কোটি টাকা মুনাফা ও লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।”
দুর্নীতি, অপচয় ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে পারলে রেলকে লাভজনক খাতে পরিণত করা যেত মত দিয়ে তিনি বলেন, “এটি না করে রেলে ভাড়া বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন প্রজেক্টের নামে দুর্নীতিবাজদেরই দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।”
সমাবেশে সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ বলেন, “এই সরকার মূল্য বৃদ্ধির সরকার। মূল্যবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার মহোৎসব চলছে।”
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কমলাপুর রেলস্টেশন চত্বর প্রদক্ষিণ করে।