গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় তার শ্যালক বেদারুল আহসান বেতারকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
Published : 04 Jan 2017, 08:47 PM
লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াত-শিবিরকে সন্দেহ করলেও লিটনের দুই বোন তৌহিদা বুলবুল ও মামলার বাদী ফাহমিদা বুলবুল কাকলী সবকিছু মাথায় রেখেই তদন্ত করার কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার বেতারকে ছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শী পরিবারের লোকজন ও বাড়ির কেয়ারটেকারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
বেতারকে থানায় নিয়ে গেলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
এ সময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান পিবিআই কর্মকর্তারা।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্যাহ আল ফারুক, সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমানসহ পুলিশের একটি তদন্ত দল লিটনের বাড়িতেই মামলার বাদী ফাহমিদা বুলবুল কাকলী, প্রয়াত এ সাংসদের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি, শ্যালক বেদারুল আহসান বেতার, ছেলে সাকিব সাদমান রাতিন, গাড়িচালক ফোরকান আকন্দ, বাড়ির কেয়ারটেকার ইমান আলী, ইউসুফ, সৌমেন্দ্র, সাজেদুল ইসলাম, ভাগনি মারুফা সুলতানা শিমু ও চাচি শামীম আরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এদিকে মঙ্গলবার কুলখানির পর লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি, ছেলে সাকিব সাদমান রাতিন, বোন ও আত্মীয়-স্বজনরা রাতেই ঢাকায় ফিরে গেছেন।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে শাহাবাজ গ্রামে লিটনের বাড়িতে ঢুকে গত শনিবার তাকে গুলি করে যায় কয়েকজন মুখোশধারী। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী। বেশ কয়েকজনকে আটক করলেও খুনিদের শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মঙ্গলবার তৌহিদা বুলবুল সাংবাদিকদের বলেন, “শুধু জামায়াত-জামায়াত করলে তো হবে না। যদি জামায়াত হয়, জামায়াত। যদি আওয়ামী লীগ হয়, আওয়ামী লীগ। যদি আমি হই, আমি। এনি বডি। আমরা তার পানিশমেন্ট চাই। আমাদের আর কিছু চাওয়ার নেই।”
তার আগে লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে জামায়াতই তার স্বামীকে হত্যা করেছে বলে তার ধারণা।